বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ আর পূর্ণিমার কারণে প্রবল জোয়ারে প্লাবিত মংলা সমুদ্র বন্দর। পশুর ও মংলা নদী উপচে পানি ঢুকে পড়েছে শহরে। বেড়িবাঁধ না থাকায় একই অবস্থা পানগুছি নদীর তীরের মোরেলগঞ্জ উপজেলার।
পানির নিচে তলিয়ে গেছে মোংলার প্রধান প্রধান রাস্তাঘাটসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। পানি বন্দি হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
মোরেলগঞ্জে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে পৌরসভা সদর বাজার, উপজেলা পরিষদ চত্বর, এস এম কলেজ, এসিলাহা স্কুল মাঠ, এসবি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সকল রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। একই সাথে বরাবরের ন্যায় উপজেলার কমপক্ষে ২৫টি গ্রাম ২/৩ফুট পানিতে প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ৫০হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
বেড়িবাধ না থাকায় মোরেলগঞ্জে খাবার পানির উৎস হিসেবে ব্যবহৃত পুকুর এর সাথে একাকার হয়ে গেছে ড্রেন, রাস্তাঘাট। জোয়ারের কারণে ডুবে গেছে এ দুই উপজেলার ফেরীর গ্যাংওয়ে। পানিতে ভেসে গেছে নিম্নাঞ্চলের অনেক চিংড়ি ঘেরের।
জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মূখীন ঈদের বাজার।
এ ব্যপারে মোরেলগঞ্জের স্থানীয় সংবাদিক মশিউর রহমান মাসুম জানান, বর্ষা মৌসুমে প্রতি অমাবস্যা-পূর্ণিমার জোয়ারের উপচে পড়া পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে মোরেলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা। বেড়িবাঁধ না থাকায় দিনদিন নিঃশ্ব হচ্ছে এ এলাকার মানুষ। হ্রাস পাচ্ছে ফসল উৎপাদন, বাড়ছে দুর্ভোগের মাত্রা।
মোংলার সাংবাদিক মোল্যা মিজান জানান, চলতি বছর থেকে মোংলার মানুষের দূর্ভোগে যুক্ত হয়েছে জোয়ারের পানির সমস্য। একটু বৃষ্টি, নিম্নচাপ বা অমাবস্যার প্রবল জোয়ারে প্লাবিত হচ্ছে মোংলা। জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ছে বন্দরে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরের সাভাবিক কার্যক্রম।
ভুক্তভুগী জনসাধারনের অবিলম্বে বাঁধ নির্মান, ড্রেজিং সহ দির্ঘ্য মেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে এসব উপজেলার কয়েক লাখ মানুকে জলবায়ু উদ্বাস্তুতা থেকে রক্ষা করা দাবী।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।