জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারের আলী আহসান মোহাম্মদ মোজাহিদের বিরুদ্ধে মানবতা বিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া মৃত্যুদন্ডাদেশ রায় কে প্রত্যাখ্যান করে বাগেরহাটে জামায়াত-শিবির বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে।
বুধবার দুপুর ২ টায় বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। পরে খুলনা-বাগেরহাট মহাসড়কের বকুলতলা ও দশানীর মোড়ে টায়ারে আগুন দিয়ে অবরোধ করে রাখে।
এদিকে মুজাহিদের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে শরনখোলা উপজেলা জামায়াত-শিবির বুধবার বেলা আড়াইটায় শরণখোলা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। উপজেলা সদরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
মিছিলটি রায়েন্দা বাজারের প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করার সময়ে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তাদেরকে ধাওয়া করে।
এসময়ে আওয়ামীলীগ, জামায়াত ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে আওয়ামীলীগ ও জামায়াতের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়।
আহতদের শরণখোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে। পরে পুলিশ ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওবায়দুল হক (২২) ও আলামীন (২৫) নামের দুই শিবির কর্মীকে আটক করে।
শরনখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমাযুন কবির বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত আকষ্মিক মিছিল বের করলে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় দুই শিবির কর্মীকে আটক করা হয়।
অপরদিকে মিছিল শেষে বাড়ী ফেরার বাগেরহাট সদর থানা পুলিশ ২ মাদ্রাসা ছাত্রকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলো সদর উপজেলার রাখালগাছি গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ওবায়দুর রহমান (১৪) ও একই এলাকার উতারুদ্দীনের ছেলে শামিম হাসান (১৩)।
আটককৃতরা বাগেরহাট সদর উপজেলার রাখালগাছি দাখিল মাদরাসার ৮ম শ্রেণীর ছাত্র বলে জানাগেছে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল কবির বাগেরহাট ইনফোকে জানান, এদিন দুপুর ১ টার দিকে হরতালের সমর্থনে মাথাভাঙ্গা এলাকা থেকে মিছিল শেষে টেম্পু ভাংচুরের চেষ্টাকালে শিবির কর্মী সন্দেহে ২ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।