ল্যাপটপ কিনে না দেওয়ায় বাবা-মায়ের উপর অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মেহেরুননেছা রিতু (১৫) নামে এক কলেজ ছাত্রী।
মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পুলিশ ওই কলেজ ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে।
রিতু বাগেরহাটের মংলা উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুস সোবাহানের মেয়ে এবং খুলনা কলেজিয়েট গালস স্কুলের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। তারা মংলা উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে কোয়ার্টারে বসবাস করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী রীতু দীর্ঘদিন ধরে বাবা-মার কাছে একটি ল্যাপটপ দাবি করে আসছিল। সোমবার তার বাবা আব্দুস সোবাহান খুলনা থেকে মেয়ের জন্য কিছু জামা কাপড় কিনে আনেন। কিন্তু ল্যাপটপ না দেওয়ায় রাতে রীতু বাবা-মার সঙ্গে কিছুক্ষণ ঝগড়া করে নিজ কক্ষের দরজা বন্ধ করে দেয়।
মঙ্গলবার ভোরে সেহেরী খেতে উঠে রীতুকে ডাকাডাকি করেন রীতুর বাবা-মা। কোনো সাড়া না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তারা। পরে সকালে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
রীতুর বাবা আব্দুস সোবাহান দুপুরে বাগেরহাট ইনফোকে জানান, মেয়ে অভিমান করে এভাবে আত্মহত্যা করবে এটা তারা চিন্তাও করেননি।
মংলা থানার ডিউটি অফিসার মনজুর এলাহী জানান, জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে লাশ দাফনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।