বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় নির্বিচারে চলছে পরিবেশ বান্ধব শামুক নিধন।
এ অঞ্চলে এখন বিলুপ্তির পথে পরিবেশের ভারসাম্য রাকারী এই জলজপ্রাণী। শামুকের মাংস খাওয়ানো হচ্ছে চিংড়ি মাছসহ ঘের ও পুকুরের নানা প্রজাতির মাছকে আরা খোলসের গুড়া দিয়ে তৈরী হচ্ছে মাছ ও মুরগীর খাবার।
প্রতিদিন জেলা থেকে প্রায় হাজার হাজার মন শামুক নিধন হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পরিবেশবিদরা।
বাগেরহাটের জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ জেলায় প্রায় ৮২ হাজার চিংড়ি ঘের। যার মধ্যে ৩৬ হাজার বাগদা, ৪৬ হাজার গলদা চিংড়ির ঘের রয়েছে। এসব ঘেরে চিংড়ি মাছের প্রধান খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয় শামুকের মাংশ। যার ফলে বাগেরহাট অঞ্চলে এখন আর আগেরমত শামুক পাওয়া যায় না।
স্থানীয় এক চিংড়ি ঘের মালিকরা রেজাউল খান জানান, মাছের খাদ্যের জন্য এখন শামুক একটি লাভজনক ব্যবসা হয়েছে দাড়িয়েছে। তাই অতিমূনফালোভী শামুক ব্যবসায়ীরা মাদারীপুরের কালকিনি, বরিশালের গৌরনদী ও গোপালগঞ্জের বিভিন্ন বিল থেকে শামুক নিয়ে আসে চিতলমারী, ফকিরহাট ও মোল্লাহাটের বিভিন্ন আড়তে। সেখান থেকে চাষিরা সে গুলো কিনে নিয়ে মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করছে এখকার পুকুর ও চিংড়ি ঘেরে।
এতে এ অঞ্চলে নিধন হচ্ছে প্রতিদিন হাজার হাজার মন শামুক।
স্থানীয় আর এক চিংড়ি চাষী বুদ্ধ বসু জানান, এ তিন উপজেলায় ৪২ হাজার ৩০০ বাগদা-গলদা ও মিশ্র মাছের ঘের রয়েছে। যার জমির পরিমান প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর। এসব ঘেরের চিংড়ি খাবার হিসেবে শামুকের মাংসই ব্যবহার করা হয়।
প্রতিদিন এখানে কম্পক্ষে অর্ধশাধিক ট্রাক ও টলার ভরে শামুক আসে।
দিনের পর দিন এভাবে নির্বিচারে শামুক নিধন হওয়ায় স্থানীয় পরিবেশবিদরা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী মো. সাফায়েত হোসেন জানান, শামুক জলজ বিভিন্ন আবর্জনা খেয়ে পানি দূষণমুক্ত ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু নির্বিচারে শামুক নিধনের ফলে বিলের পানি দূষণ বাড়ছে। ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।
তাই পরিবেশ রাক্ষারী এই প্রাণীটিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনই প্রয়োজনীয় যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান তিনি।
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।