বাগেরহাট জেলার ফকিরহাটে ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০টি ভবনে ঝুকিপূর্ন ফাটল দেখা দিয়েছে।
এসকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোথাও কোথাও দেওযাল খুলে পড়ছে। আবার কোথাও কোথাও ছাদের বড় অংশে খুলে পড়ছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে শ্রেনি কক্ষে দিন দিন শিক্ষাথী সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।
অভিভাবকের এই সকল প্রতিষ্ঠানে তাদের ছেলে মেয়েকে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে প্রতিকার দাবী করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা মন্ত্রনালয়সহ বিভিন্ন স্থানে আবেদন করলেও কোন ফল হচ্ছে না। ফলে আসন্ন দ্বিতীয় সাময়িক বা নির্বাচনী পরিক্ষায় উপজেলার শিক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়াসহ শিক্ষক/ শিক্ষার্থীদের মাঝে বিরাজ করছে অজানা এক আতংক।
ফকিরহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেব প্রসাদ পাল বাগেরহাট ইনফোকে জানান, উপজেলার ৭টি স্কুল কলেজের ১০টি শিক্ষা ভবনে বর্তমানে ঝুকিপূর্ন ফাটল দেখা দিয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগন আবেদন করেছেন। এই আবেদনের প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগন ওই প্রতিষ্ঠান গুলো পরিদর্শন শুরু করেছে। ইতিমধ্যে টাউন নওয়াপাড়ার শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী মহা-বিদ্যালয়ের মূলভব ঝুকিপূর্ন বলে চিহ্নিত করেছেন।
এছাড়া উপজেলার বাহিরদিয়া ইউনিয়নের গাবখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবনে বিশাল আকারে ফাটল ধরা পড়েছে। সেই ভবন হতে প্লাষ্টার ও ছাদ খসে পড়ে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী ছাত্রী ও শিক্ষক গুরুত্বর আহত হয়।
এরই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর গাবখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা করেন। ফলে এই বিদ্যালয়ের দুই শতাধিক শিক্ষার্থী পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি রুমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
এছাড়া বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা-মাসকাটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, পিলজংগ ইউনিয়নের জয়পুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মুলঘর ইউনিয়নের মুলঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নলধা ইউনয়নের নলধা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মুল ভবনের একই অবস্থা বলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
বাগেরহাট শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী তারেক আনোয়ার জাহিদ বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, বাগেরহাট জেলার ৪ ঝুকিপূর্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মেরামতের জন্য অর্থ পাওয়া গেছে। তবে বাকী গুলো ঝুঁকিপূর্ন কি-না তা নির্ধারনের জন্য টীম কাজ করছে।
এখনও পর্যন্ত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ঝুঁকিপূর্ন হিসেবে চিহ্নত করা হয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে অর্থ প্রাপ্তি সাপেক্ষে মেরামতের কাজ করা হবে বলে তিনি জানান।
৩০–০৬-২০১৩ :: ইনজামামুল হক, নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।