বঙ্গপসাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও পূর্ণিমারা অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ উপচে বাগেরহাটে পাঁচটি উপজেলার অন্তত্য ৪০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পানিতে তলিয়ে গেছে মংলা, মোড়েলগঞ্জ পৌরসভাসহ শরনখোলা, রামপাল ও উপজেলা সদর সরকারি অফিস ও দোকানপাট। ভেসে গেছে অন্তত সহস্রাধিক চিংড়ি ঘের। পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে এসব এলাকায় লক্ষাধীক মানুষ।
বুধবার সকালে জোয়ারের পানি সদর উপজেলার বেমরতা ইউনিয়নের ভাটসালা এলাকায় পানি বোর্ডের ৩৪/২ ভেড়ীবাঁধ উপচে কলাবাড়ীয়া বিষ্ণুপুর, রাধাবল্লব, কাঠুয়া, ভাতসালা, সুলতানপুর, রধুনাতপুর ও তালেশ্বর এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দর, মংলা পোর্ট পৌরসভাসহ এর আশপাশের এলাকা। জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মংলা পৌরসভার অধিআংশ দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ব্যাহত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত জাহাজের পণ্য বোঝাই ও খালাস কাজ।
শহর রক্ষাবাঁধ না থাকায় পশুর নদীর দু’কুল উপচে জোয়ারের পানি বইছে শহরের সিঙ্গাপুর মার্কেট, বাজার সমজিদ রোড, মাদ্রসা রোড, বান্দাঘাটা, নিউ মেইন রোড, কবরস্থান রোড, শ্রমিক সংঘ মোড়, খেয়াঘাটসহ অধিকাংশ জায়গায়। জোয়ারের সময় এখানকার অধিক অংশ এলাকা তলিয়ে যাচ্ছে দুই থেকে তিন ফুট পানিতে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মংলা পৌর কর্তৃপক্ষ বেরিবাঁধ নির্মাণের কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এ অবস্থান সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মোড়েলগঞ্জে উপজেলা সদরের পৌর এলাকাসহ জোয়ারের পানিতে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। শহর রক্ষা বাঁধ না থাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে চার থেকে ফুট উঁচুতে জোয়ারের পানি প্রবাহিত হওয়ায় পৌর শহরের সব রাস্তা-ঘাট তলিয়ে গেছে। এতে উপজেলা সদরের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও সরকারি-বেসরকারি দফতর এখন পানিতে নিমজ্জিত।
একই অবস্থা জেলার রামপাল ও শরনখোলা উপজেলায়। তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয় গেছে এখান কার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
জেলা ত্রন ও পুনর্বাসন দপ্তরের হিসাব মতে, এই মুহুর্তে পানি বন্দি জেলার পাঁচ উপজেলার ৪০টি গ্রামে লক্ষাধীক মানুষ।
জেলা মৎস্য বিভাগের সুত্রে জানা গেচে, গলদা ও বাগদা চিংড়িসহ সহস্রাধীক মৎস্য খামার তলিয়ে ভেসে গেছে কয়েক কোটি টাকার মাছ।
২৬–০৬-২০১৩ :: নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।