সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্চের সুপতি স্টেশনের বনরক্ষী নুর আলম ও রিপনের বিরুদ্ধে হরিণ ও গাছ পাচারের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া তাদের বিরুদ্ধে ইলিশের মৌসুম শুরু হওয়ায় মাছ ধরা প্রতি ট্রলারে সপ্তাহে ৫শ টাকা উৎকোচ নেয়ার অভিয়োগ করেছে জেলেরা।
জেলে ও মৎস ব্যবসায়ীরা জানায়, সুপতি স্টেশনে যোগদানের পর থেকে ওই দুই বনরক্ষী বরগুনার চরদুয়ানী, পাথরঘাটা ও বাগেরহাটের শরনখোলা উপজেলার গাবতলা এলাকার চোরা কারবারিদের সাথে আতাত করে লাখ লাখ টাকার অর্থ বানিজ্য করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত সপ্তাহে চরদুয়ানী এলাকার হরিণ পাচারকারী চক্রের হোতা আনিচুর রহমান মোল্লা ও মালেক গোমস্তা নামের দুই চিহিৃত চোরাকারবারীকে আটক করে অর্ধলক্ষ টাকার বিনিময়ে হরিণসহ ছেড়ে দিয়েছে।
এছাড়া ইলিশ মৌসুমের শুরুতে জনপ্রতি পারমিট অনুযায়ী ৪৩৪ টাকার স্থলে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা আদায় করছে। ট্রলারে ৮/১০ জনের জেলের স্থলে ৩/৪ জনের পারমিট ফি জমা দিয়ে বাকী অর্থ ওই দুই বনরক্ষী হাতিয়ে নিচ্ছে।
যারা এই অতিরিক্ত অর্থ প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করছে তাদের উপর চালানো হচ্ছে নির্যাতন।
এবিষয়ে ওই দুই বনরক্ষীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ডিএফও আমীর হোসেন চৌধুরী বাগেরহাট ইনফোকে জানান, বিষয়টি তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
২২–০৬–২০১৩ :: উপজেলা নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।