মংলার মিঠাখালীতে নানা কর্মসূচী মধ্য দিয়ে পালিত হয়েচ্ছে অকাল প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২২তম মৃত্যুবার্ষিকী।
রুদ্র স্মৃতি সংসদ’র উদ্যোগে শুক্রবার সকালে সংসদ চত্বর থেকে বের হওয়া বিশাল শোভাযাত্রা মিঠাখালী বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শোক র্যালী শেষে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেণী পেশার মানুষ কবির কবরে পুষ্প অর্পন করে।
সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও কবির ছোট ভাই সুমেল সারাফাতের সভায় সভাপতিত্বে অনান্যোর মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান মো: নুর আলম, মংলা থানার ওসি মুনীর উল গিয়াস, রুদ্র সমৃতি সংসদের উপদেষ্টা আফজাল হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংসদের সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো। সভায় বক্তারা আপোষহীন যোদ্ধা রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র জীবণ ও লেখার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। সমাজের সকল বৈষম্য, অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রুদ্র তার কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।
পরে রুদ্রের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান মুনীর উল গিয়াস ও সুমেল সারাফাত। গান পরিবেশন করেন রুদ্রের গড়া সংগঠন ‘অন্তর বাজাও’ ও স্থানীয় শিল্পীরা।
মাত্র পয়ঁত্রিশ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবন-সীমায় রুদ্র রচনা করেন সাতটি অত্যুজ্জ্বল কাব্যগ্রন্থ-‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’(১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), ‘গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়ে ছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’(১৯৯০)।
এছাড়া তার বেশ কিছু গল্প ও অগ্রন্থিত বহু রচনা পত্র পত্রিকা ও লিটল ম্যাগাজিনের পাতায ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রুদ্রের রক্তে প্রোথিত ছিল সঙ্গীতের বীজও। ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’- সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের স্রষ্ঠা তিনি।
১১-০৬-২০১৩ :: উপজেলা নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।