বাগেরহাট জেলা সদর, ফকিরহাট সহ বিভিন্ন উপজেলায় চরম ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অজ্ঞান পার্টির তৎপরতা ফলে রাতের ঘুম হারাম হয়ে পড়েছে এসব এলাকাবাসির।
অজ্ঞান পার্টির কবল হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকে এলাকায় নিজেরা রাত জেগে পাহারা দিলেও মুক্ত হতে পারছেনা এদের কবল হতে। গত ৬মাসে অজ্ঞান পার্টির কবলে পড়ে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবার সর্বশান্ত এবং শতাধীক পরিবার অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রাজনৈতিক সহিংষতা কমাবার জন্য পুলিশ প্রশাসন সর্বদা ব্যাস্ত থাকার সূযোগে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা, একের পর এক একান্ড ঘটাচ্ছে বলে অনেকে ধারনা।
বর্তমানে বাগেরহাট সদর সহ বিভিন্ন উপজেলার প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে একটি শক্তিশালি চক্র বিভিন্ন বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে খাবারের সাথে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে বা প্রে করে সকলকে অজ্ঞান করে মালামাল লুট করেই চলছে।
এদিকে, পুলিশ প্রশাসন এখনও আটক করতে পারেনি এই চক্রের কোন সদস্যকে।
গত কয়েক মাসে উপজেলা সদরের শিক্ষাবিদ দাশ শিশির কুমারের বাড়ীতে জালানার গ্রীল কেটে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা চুরি করে, একই ভাবে চুরি হয় খানজাহান আলী কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাসক খন্দকার আসিফউদ্দিন রাখীর সরই এর বাসা, বদ্দিপাড়ার শাখা ব্যবসায়ীর বাড়ীতে, ঘোষ পাড়ার অধ্যাপক তাপস বিশ্বাসের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, মুলঘর জয়দেব এর বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, পালপাড়ায় পরিতোষ সাহার বাড়ীতে গ্রীল কেটে ও অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, পিলজংগ গ্রামের শংকর কুমার এর বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, কৃষ্ণ কুমার রাহার বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, সুভাষ কুমার ধরের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, কালিপদ ধরের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, বিষ্ণু কুমার দত্তের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, কমলজিৎ সরকারের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, শান্ত হায়দার এর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি, লখপুরের ভবনা গ্রামের তাপস দাশের বাড়ীতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি, শ্যামবাগাত গ্রামের সরফরাজ এর বাড়ীতে এবং আজগার আলীর মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মালামাল ও মাছ চুরি, পিলজংগ গ্রামের অমল ঘোষ কুনা মেম্বর এর মৎস্য ঘেরে এবং কাঠালতলা মরহুম ফরহাদের বাগান বাড়ীর পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ চুরি করা হযেছে বলে বিভিন্ন সুত্র খবর পাওয়া গেছে।
এমন কি বাদ যায়নি বাগেরহাট শহরের আমলাপাড়া এলাকায় সদর আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মীর শওকাত আলী বাদশার দুই ভাইয়ের বাড়িও। গত মাসের শেষ দিকে তাদের বাড়িতেও ঘটে এমন চুরির ঘটনা। তাই আতংকিত সাধারন মানুষের প্রশ্ন যখন এমপির ভাইয়ের বাড়িতে ঘটছে এমন ঘটনা তখন তাদের নিরাপত্তা কই?
একের পর এক অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা বিভিন্ন এলাকার বাড়ী হতে অজ্ঞান করে মালামাল চুরি করলেও পুলিশ প্রশাসন তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছেনা। ফলে রাতের ঘুম হারা হচ্ছে আতংকিত এলাকাবাসির।
১৪-০৬-২০১৩ :: এডিটর, বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।