বাগেরহাটের শরণখোলার ইউএনও কেএম মামুন উজ্জামানকে দূর্নীতিবাজ ও ঘূষখোর আক্ষাইত করে তার অপসারণ ও বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষব।
শরণখোলা স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাগরিক সমাজের ব্যানারে কয়েকশ’ নারী-পূরুষ রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত ঝাঁড়ু জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ, ঘেরাও, মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের মাধ্যমে তাকে ধিক্কার জানিয়েছে।
সমাবেশ থেকে এক সপ্তাহর মধ্যে ওই দূর্নীতিবাজ জামায়াতী ইউএনওকে শরণখোলা থেকে প্রত্যাহার করা না হলে হরতাল, অবরোধ ও গণঅনশনসহ কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেয়া হয়।
সকাল ১০টার সময় কয়েকশ’ নারী-পূরুষের ঝাঁড়ু-জুতা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে রায়েন্দা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর থেকে শুরু হয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরের বটতলায় সমাবেশে মিলিত হয়। সেখানে ইউএনও’র সমস্ত অপকর্মের ক্ষতিয়ান তুলে ধরে বক্তব্য দেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন আকন, প্রবীন আওয়ামীগ নেতা মুক্তিযোদ্ধা ইসলমাইল হোসেন খলিফা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম কালাম, প্রভাষক আকন আলমগীর, শাহজাহান বাদল জমাদ্দার প্রমূখ।
এসময় তারা বলেন, ইউএনও মামুন শরণখোলায় যোগদানের পর থেকে জামায়াত-বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সক্ষতা গড়ে তুলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছেন। তাদের সঙ্গে গভীর রাতে তার বাসায় গোপন বৈঠক করেন। তিনি স্থানীয় কতিপয় চিহ্নিত দালালকে সাথে নিয়ে উন্নয়নের নামে জমি দখল, চাঁদাবাজি ও ঘূষ বাণিজ্যে মেতে ওঠেন।
ইউএনও অবৈধ ইট পোড়ানোর অনুমোতি দিয়ে প্রত্যেক ভাটা থেকে দুই হাজার করে ইট ও পাঁচ হাজার করে টাকা চাঁদা নিয়েছেন। রায়েন্দা পাঁচরাস্তা এলাকায় বাসস্ট্যান্ডের নামে জমি দখল করে সেখানে ৭৬টি দোকান বরাদ্দ দিয়ে ২০ লক্ষাধিক টাকা ঘূষ নিয়েছেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি দখল করে তার আস্তাভাজন ব্যক্তিদেরকে বন্টন করেছেন। এছাড়া উপজেলার সমস্ত প্রকল্পের ফাইল আটকিয়ে এক পার্সেন্ট ঘূষ আদায় করেছেন। এমনকি ভিজিড ও জেলে কার্ডে নাম অন্তর্ভূক্ত করার নামে তার দালালদের মাধ্যমে ইউএনও হাজার হাজার টাকা উৎকোচ নিয়েছেন বলে বক্তরা উল্লেখ করেন।
এসময় বিক্ষোভকারীরা ইউএনও’র কার্যালয় ঘেরাও করে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে। সমাবেশ শেষে বিক্ষোভকারীরা পাঁচরাস্তা এলাকায় মানববন্ধন করে। পরে তারা প্রায় আধাঘন্টা আঞ্চলিক মহাসড়কে বসে অবরোধ কর্মসূচী পালন করে।
এ ব্যাপারে বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মু. শুকুর আলী বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ইউএনও’র বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে বিধিগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
০৯-০৬-২০১৩ :: উপজেলা নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।