নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মংলা বন্দর যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে সরকার সে লক্ষ্যে কাজ করছে।
শনিবার বিকেলে মংলা বন্দর জেটিতে বন্দরের ‘নেভিগেশনাল এইডস টু মংলা পোর্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের সমাপনান্তে পশুর চ্যানেলে দিবারাত্রি জাহাজ চলাচলের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
নৌ সেক্টরে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু নির্মিত হলে মংলা বন্দরের গুরুত্ব অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বন্দরের উন্নয়নে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
নেভিগেশনাল এইডস টু মংলা পোর্ট প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে বন্দরটি একটি আধুনিক বন্দরে রূপ নিয়েছে। ফলে বন্দর ব্যবহারকারীরা এটি ব্যবহারে আরও উৎসাহী হবেন।
মন্ত্রী জানান, অচিরেই ঢাকা-খুলনা রুটে দুইটি স্টীমার চলাচল শুরু করবে। এতে করে এ অঞ্চলের জনগণের ভোগান্তি লাঘব হবে।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর এইচ আর ভূইয়া সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য বেগম হাবিবুন নাহার।
উল্লেখ্য, প্রকল্পটির অওতায় ২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে জিওবি-র অর্থায়নে ১৩১ কি.মি. পশুর চ্যানেলে ৬২টি বিভিন্ন ধরণের লাইটেড বয়া, দুইটি রোটেটিং বীকন এবং ১০ মিটার উচ্চতার ছয়টি জিআরপি লাইট টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে।
০৮-০৬-২০১৩ :: উপজেলা নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।