মংলায় পুলিশের উপর হামলা ও মারধর করে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় ৬ জনকে আটক করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
মোংলা থানা পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাতে থানার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী গ্রেফতারে জন্য উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বাশতলা বাজারে এস আই মারফত আলীর নেতৃত্বে ৬ সদস্যের পুলিশ একটি দল অভিযান চালায়। এসময় তারা আসামী খুজতে খুজতে ওই এলাকার জনৈক আনছার আলীর বাড়ীতে প্রবেশ করে। আনছারের বাড়ীতে জুয়া খেলার ঘর থেকে মোক্তার আলী ও জলিল নামের দুই জুয়াড়ীকে পুলিশ আটক করলে এলাকার লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা চালায়।
এসময় তারা পুলিশকে মারধর করে হ্যান্ডক্যাপ পরিহিত ওই দুই আসামী ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় গ্রামবাসীর হামলায় আহত হয় ৬পুলিশ সদস্য।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে থানায় ফিরে এসে পুলিশের কাজে বাধা, হামলা ও মারধরের বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করে। মামলায় ৮জনকে আসামী এবং ২০জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। বুধবার রাতে এ সকল আসামীদের গ্রেফতারে ওই এলাকায় ঝটিকা অভিযান চালিয়ে ১১জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য অনুয়াই আটককৃতদের মধ্যে ৬ জন নিরাপরাধী হওয়ায় তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। অভিযুক্ত মানসুরা বেগম (৪০), আনসার আলী (৪৫), ফেরদৌস শেখ (৩০), মারুফ বিল্লাহ (২৮), হাবিবুর রহমান (৪২) ও হোসেন শেখ (২৬) কে পুলিশের কাজে বাধা ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মংলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনীর উল গীয়াস বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, পুলিশের কাজে বাধাদান ও আসামী ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনার মামলায় বুধবার রাতে ১১জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৬ নির্দোশ থাকায় যাচাই বাচাই করে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বাকীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, বাকি আসামীদের আটকে পুলিশ সর্বাত্তক অভিযান চলছে।
০৬-০৬-২০১৩ :: উপজেলা নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।