চিতলমারীতে পাখি শিকারিরা বেপরোয়া হয়ে উঠছে। বর্তমানে নির্বিঘ্নে তারা এলাকার বিভিন্ন বিল, মাঠ ও জলাশয় থেকে পাখি শিকার করছে প্রায় নিরবিগ্নে। আর শিকার করা এ সব পাখি প্রকাশ্যে ও গোপনে বিক্রি হচ্ছে এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজারে। প্রতি বছর শীতের শুরুতেই এলাকার বিল গুলোতে প্রচুর অতিথি পাখি এসে আশ্রয় নেয়। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এলাকার কিছু অসাধু শিকারিরা ফাঁদ পেতে ও বিভিন্ন কৌশলে পাখি শিকার করে বাজারে বিক্রি করছে। এলাকার খড়িয়া, কোদালিয়া, শ্রীরামপুর, নারাণখালী, বারাশিয়া, শকুনিয়া ও রুয়েরকুলসহ বেশ কয়েকটি বিলে এখন পুরোদমে পাখি শিকার চলছে। খাদ্যের সন্ধানে ও আশ্রয়ের জন্য আসা এসব পাখি শিকারিদের হাতে ধরা পড়ার পর এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীরা সেগুলো কিনে নিয়ে এলাকার বাইরে বিক্রি করছে বলে স্থানীয় লোকজন জানান। এলাকায় পাখি শিকার ও বেচা-কেনার সাথে শতাধিক লোক জড়িত বলে জানা গেছে। উপজেলার বাখরগঞ্জ বাজার, বারাশিয়া হাটখোলা ও নতুন কালশিরা গ্রামের পাগল মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন ভোর হতেই পাখির বেচাকেনা হয় বলে গ্রামবাসীরা জানান। এলাকার বাইরে থেকেও লোকজন পাখি কিনতে এসব স্থানে ভিড় জমাচ্ছে। এক সময় এখানকার প্রত্যন্ত বিলে গড়ে উঠেছিল পাখিদের অভয়াশ্রম কিন্তু শিকারিদের কবলে পড়ে এসকল পাখি দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। সবার প্রত্যাশা প্রশাসন দ্রুত বিষয়টির দিকে নজর দিবে।