জোয়ারে অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি ও টানা বৃষ্টির পানিতে বাগেরহাটের কয়েকটি উপজেলার নিচু এলাকার হাজারও মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ভেসে গেছে এসব এলাকার চিংড়ি ঘের।
টানা বর্ষণের ফলে জেলার শরণখোলা, মোড়েলগঞ্জ, মংলা, রামপাল ও সদর উপজেলার প্রায় তিনশ হেক্টর জমির আউশ ধানের বীজতলা তলিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, ভৈরবে স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে তিন ফুট পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধের ৩৫/৩ পোল্ডার দিয়ে উপচে সদর উপজেলার রাধাবল্লভ গ্রামে প্রবেশ করায় সেখানকার কিছু ঘরবাড়ি ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়েছে।
বেড়িবাঁধ উঁচু করার জন্য ইতোমধ্যে ওই এলাকার প্রায় এক কিলোমিটার অংশে নতুন মাটি ফেলা শুরু হয়েছে বলে জানান এ প্রকৌশলী।
শুক্রবার সকালে সরজমিন কাড়াপাড়া ইউনিয়নের রাধাবল্লভ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এখানের শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ঘর থেকে বের হতে পারছেন না মানুষজন। পানি উঠে গেছে রান্নার চুলায়।
রাধাবল্লভ গ্রামের বিল্লাল হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে জানান, পোল্ডারের ভেতরে তার পাঁচ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের আছে। বৃহষ্পতিবার বিকেলের অস্বাভাবিক জোয়ারের পানি বেড়িবাঁধ উপচে অন্তত দুই শতাধিক চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে।
এ সময় ৩৫/৩ পোল্ডারের বাঁধ অন্তত দুই মিটার উঁচু করার দাবি জানান তিনি।
গত চার দিনের টানা বর্ষণেপানিতে তলিয়ে গেছে এ গ্রামের কুলসুম বেগমের বসত ঘর ও বাগান। তার বাড়ির উঠানে এখন হাঁটু পানি। ছেলেমেয়েরা পানির মধ্যে নামতে পারছে না।
কাড়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য উত্তম দাস বলেন, এই মূহর্তে তার ওয়ার্ডের রাধাবল্লভ ও পুঁটিমারী গ্রামের কয়েকশ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র মণ্ডল বাগেরহাট ইনফোকে জানান, অবিরাম বর্ষণে ঘেরগুলোতে পানি থৈ থৈ করছে। রাধাবল্লভ গ্রামের কিছু চিংড়ি ঘের ভেসে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হীরেন্দ্রনাথ হাওলাদার জানান, কচুয়া, মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা ও বাগেরহাট সদর উপজেলার প্রায় তিনশ হেক্টর জমির আউশ ধানের বীজতলা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে এ অঞ্চলের কৃষির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আসংকা জানন তিনি।
৩১-০৫-২০১৩ :: নিউজ করেসপন্ডেন্ট,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।