বাগেরহাটের শরণখোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/১ পোল্ডারে বেড়িবাঁধ মারাত্মক ভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
প্রবল বর্ষণ আর বলেশ্বর নদের ঢেউয়ের আঘাতে উপজেলার সদরের রায়েন্দা থেকে সাউথখালী পর্যন্ত প্রায় ১৫টি পয়েন্টে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।
যেকোনো সময় তা সম্পূর্ণ ভেঙে গিয়ে অন্তত ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার ঘরবাড়ি, পুকুর, মাছের ঘের ও শত শত একর ফসলে মাছ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সরেজমিন ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, রায়েন্দা, কদমতলা, জিলবুনিয়া ও রাজেশ্বর গ্রামের ৭-৮টি পয়েন্ট সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে রাজেশ্বর ও জিলবুনিয়া গ্রামের কয়েকটি পয়েন্টে বাধের ব্যাপক অংশ এরই মধ্যে বিলিন হয়ে গেছে নদী গর্ভে।
অনেক এলাকায় বাঁধের সম্পূর্ণ বিলিন হতে মাত্র এক থেকে দেড়ফুট বাকি আছে। বলেশ্বরের আছড়ে পড়া বড় বড় ঢেউয়ে যেকোনো সময় এই বাঁধ বিলিন হয়ে যেতে পারে।
এছাড়া, লাকুড়তলা, তাফলবাড়ি লঞ্চঘাট, উত্তর সাউথখালীর তিনটি পয়েন্ট ও গাবতলা এলাকার বেড়িবাঁধ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে ওই এলাকার বাসিন্দা আ. হালিম জানিয়েছেন।
কদমতলা এলাকার বাসিন্দা জয়নাল আকন(৪৮) বাগেরহাট ইনফোকে জানান, স্লুইগেট ও বড়ইতলা এলাকার বাঁধ ভেঙে গেলে প্রায় ১০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। রাজেশ্বর গ্রামের রফিজউদ্দিন হাওলাদার (৬০), বাবুল পহলান (৩৫) হানিফ হাওলাদার (৩২), মেরি বেগম (৩০) জানান, বাঁধ ভেঙে ঘরবাড়ি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার রাতে ওই গ্রামের কয়েকশ’ নারী-পুরুষ ও শিশু ঘর ছেড়ে উচু এলাকায় গিয়ে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে তারা বাঁধভাঙা আতঙ্কে রয়েছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডে শরণখোলা স্টেশন কর্মকর্তা (এসও) মো. আলতাব হোসেন বাগেরহাট ইনফোকে বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বেড়িবাঁধে ব্লক ফেলার কাজ চলছে। ঠিকাদারকে বাঁধ রক্ষার জন্য বলা হয়েছে।
৩০-০৫-২০১৩ :: মিজানুর রাকিব,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।