ফকিরহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা খান জাহিদ হাসান খুন হওয়ায় ফকিরহাট-মাওয়া এবং বাগেরহাট-খুলনা-মংলা মহাসড় অবরোধ করেছে বিক্ষুদ্ধ নেতা-কর্মীরা।
রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে খুলনা-মাওয়া ও খুলনা- বাগেরহাট সড়কের বিভিন্ন স্থানে গাছের গুড়ি ফেলে এবং টায়ার জ্বালিয়ে এ সড়ক অবরোধ করা হয়। এতে বাগেরহাট -খুলনা -ঢাকাসহ বিভিন্ন সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এসময় ফকিরহাট বাজারের সকল দোকানপাট বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা।
এ সময় তারা কালো ব্যাজ ধারণ ও শোক মিছিল করেন।
এদিকে, রুপসা থানায় নয় জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুবলীগ সভাপতি হারুন সমর্থিত দলের চারজনকে আটক করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ফকিরহাট ও মোল্লারহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ ৪ জনকে আটক করা হয়েয়েছে। আটকরা হলো, বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার আটকাঠি গ্রামের মিঠু (২৪), আজাদ (৩৩), সাখাওয়াত (২৫) ও মোল্লারহাট উপজেলার জাকির (৪৪)।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার নিজামুল হক মোল্লা জানান, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, খুলনা-মাওয়া ও খুলনা- বাগেরহাট সড়কের অবরোধকারীরা পুলিশের সাথে আলোচনার পর তাদের অবরোধ তুলে নিয়েছে।
উল্লেখ, শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক খান জাহিদ হোসেন ও তার মোটরসাইকের চালক মুন্নাকে রূপসা উপজেলার আমদাবাদ স্কুলের সামনে দুবৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় রূপসা থানায় মামলা হয়েছে।
Related Stories
সন্ত্রাসীদের গুলিতে ফকিরহাটে ইউপি চেয়ারম্যানসহ দ’জন নিহত
১৯.০৫.২০১৩ :: নিউজ করেসপন্ডেন্ট
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।