ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে উপকূলীয় উপজেলা শরণখোলায় সূর্যমুখীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
চাষীরা জানিয়েছেন, জমি থেকে ফসল কাটার শেষ মূহুর্তে বৃষ্টির পানিতে ক্ষেত তলিয়ে যাওয়ায় তারা আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন।
ক্ষতিগ্রস্ত শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া, গোলবুনিয়া, তালবুনিয়া, খোন্তাকাটা, মধ্য খোন্তাকাটা, পূর্ব খোন্তাকাটা ও খোন্তাকাটা গ্রামের সূর্যমুখী ফুলচাষিরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খরচের টাকাও উঠবে না তাদের।
শরণখোলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের নলবুনিয়া গ্রামের কৃষক সোহাগ বলেন, “দুই বিঘা জমিতে প্রায় পনেরো হাজার টাকা খরচ করে ফুলের চাষ করি। বৃষ্টিতে ফুলের গাছগুলো সব পানিতে হেলে পড়েছে। বাজারে এ ফুলের দাম পাওয়া যাবে না। ফলে খরচের টাকাই তোলা কঠিন হবে”।
একই কথা জানিয়েছেন কৃষক পলাশ হাওলাদার এবং জসিম হাওলাদার।
শরণখোলা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, সিডরের জলোচ্ছ্বাসের পর এ এলাকার মাটি ও পানিতে অতিরিক্ত লবণাক্ততা ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর কোন ফসলই হচ্ছিল না এখানকার জমিতে। ২০১০ সালে পরীক্ষামূলকভাবে সূর্যমূখী ফুলের চাষ করে ভাল ফলন হওয়ায় আস্তে আস্তে কৃষকরা এই চাষে ঝুঁকছে।
শরণখোলা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা ফজলুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে ১৫০ হেক্টর জমিতে সুর্যমূখী ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪০ হেক্টর জমির সূর্যমূখী পানিতে তলিয়ে গেছে। বাজারে এই ফুলের ভাল দাম পাওয়া যাবে না। তাই কৃষকরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন বলে আসংকা প্রকাস করেন এই কৃষি কর্মকর্তা।
১৭.০৫.২০১৩ :: অলীপ ঘটক,
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।