উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় মহাসেন দুর্যোগ মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ১৬ লাখ লোকের জন্য খোলা হয়েছে নিযন্ত্রণ কক্ষ।
বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগ ইতিমধ্যে তিনটি বিশেষজ্ঞ টিমসহ ৭৫টি ইউনিয়নে একটি ও চারটি থানাসদরেসহ মোট ৮২টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখা হয়েছে রেডক্রিসেন্টের ১৩০ জন সেচ্ছাসেবীকে। বাতিল করা হয়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি।
জেলায় ২০১টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলো ইতোমধ্য প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাতে দুর্যোগকালীন ১ লাখ ৭৭ হাজার লোক আশ্রয় নিতে পারবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
দ্বিতীয় সমুদ্র বন্দরের নৌঘাটি বিএনএস মংলার সকল যুদ্ধ জাহাজকে ইতিমধ্যে নিরাপদ আশ্রয়ে খুলনার বিএনএস তিতুমীর নৌঘাটিতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। যে কারণে এ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে বেশি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
সিডরের সাত বছর হতে চললেও ক্ষত শুকায়নি এখনও বাগেরহাটের মানুষের। এ অবস্থায় ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত হানবে কিনা সে আশঙ্কায় দিন পার করছে জেলার প্রায় ১৭ লাখ মানুষ।
বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মো. শুকুর আলী জানান, সোমবার দুপুরে দূর্যোগ মোকাবেলায় জরুরি সভায় এই সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে। উপকূলে মহাসেনের আঘাত হানার আশঙ্কায় জেলার সকল উপজেলায় জনগণেকে সর্তক থাকার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে।
এছাড়া মংলা বন্দর ও আউটার অ্যাঙ্কারেজে অবস্থানরত জাহাজকে নিরাপদে থাকতে বন্দর কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দিয়েছে।
মংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের স্টফ মনিরুজ্জামান জানান, কোস্টগার্ডের সকল জলযান নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. আমির হোসেন চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় মহাসেন আঘাত হানার আশঙ্কা ইতিমধ্যে ছোট ছোট ক্যাম্পের বনরক্ষীদের রেঞ্জ অফিসগুলোতে চলে আসতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রাখা হয়েছে সুন্দবনের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের। মাছধরা ট্রলারসহ জেলে, বনজীবী, মৌয়াল ও পর্যটকদের নিরাপদ আশ্রায় চলে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে শত-শত মাছধরা ট্রলার আশ্রয় নিয়েছে সুন্দরবনসহ উপকূলে।
১৩.০৫.১৩ :: বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।