ঘূর্ণিঝড় মহাসেন’র প্রভাবে মংলা বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারী সংকেত জারি হওয়ায় জরুরী সভা শেষে অ্যাকশন এলার্ট-২ জারি করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
সোমবার বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী বৈঠকে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশী-বিদেশী জাহাজ ও সকল নৌযান সমূহকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের প্রভাবে ভ্যাপসা গরম শুরু হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারির ফলে সাধারণ মানুষের মনে ভীতি ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিকেল থেকে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আশঙ্কায় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, নৌ বাহিনী, কোস্টগার্ড ও স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে থাকা নৌ বাহিনী ও কোস্ট গার্ডের জাহাজ নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
এছাড়া সাগর ও সুন্দরবনে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা দুবলার চরের মেহেরআলী আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানায় বন বিভাগ। এদিকে সাধারণ লোকজনকে সতর্ক করতে বিকেল থেকে শহরে মাইকিং করে প্রচারণা চালাচ্ছে মোংলা পৌর কর্তৃপক্ষ।
মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগের সচিব মো. হেলাল উদ্দিন ভুইয়া জানান, বিকেলে বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জরুরী বৈঠকে করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের চেয়ারম্যানসহ পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. মিজানুর রহমান জানান, রাতে জরুরী বৈঠক করেছে উপজেলা প্রশাসন। সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব দপ্তরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ও উপজেলা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
১৩.০৫.১৩ :: বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।