মংলায় কালবৈশাখী ঝড়ে পৃথক স্থানে ৪ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া সহস্রাধীক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও নৌযান চরে উঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে অন্তত দেড়শ’জনেরও বেশি।
বুধবার রাতে ১২টার দিকে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে পশুর নদীর বাজুয়া এলাকায় বজ্রপাতে একজন ও বুড়িরডাঙ্গায় ঘর চাপায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের নামপরিচয় পাওয়া যায়নি।
এদিকে ঝড়ের কারণে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরে বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন ছিল মোংলায়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাহিদুজ্জামান ও পৌর মেয়র জুলফিকার আলী জানান, বুধবার মধ্যরাতে মংলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কালবৈশাখী ঝড়ে পৌর এলাকাসহ ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ১২শ’ ঘরবাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত, ২৭শ’ ঘর আংশিক বিধ্বস্ত ও বিপুল পরিমাণ গাছপালা উপড়ে গেছে। এছাড়া বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে যাওয়ায় রাত থেকে দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঝড়ে মংলার পশুর ও ক্রিকবয়া এলাকায় থাকা প্রায় ২০টি কার্গো জাহাজ ঝড়ের কবলে পড়ে চরে ও পৌরসভার নির্মাণাধীন ঘাটের ওপর উঠে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে আহত হয়েছে ১শ ৫০ জন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝড়ে অধিক ক্ষতিগ্রস্ত বুড়িরডাঙ্গা এলাকা পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ড. মিজানুর রহমান।
এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মেঘমালার কারণে বৃহস্পতিবারও মংলা বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত বলবৎ রয়েছে।
০৯.০৫.২০১৩ :: বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।