বাগেরহাটে চলছে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট।
ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নছিমন, করিমন, বিআরটিসি’র বাস ও মটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের দাবিতে পূর্ব থেকে ঘোষণা অনুযাই বাস মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ শুক্রবার সকাল থেকে এ ধর্মঘট শুরু করে।
ফলে বাগেরহাটের ওপর দিয়ে চলাচলকারী খুলনা, পিরোজপুর ও বরিশালসহ জেলার অভ্যন্তরীণ ১৮টি সড়কে সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে এ বাস ধর্মঘটের কারণে এসব সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।
বাগেরহাটের বিভিন্ন মহাসড়কে অবৈধ এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছে। আন্দোলনকারীরা বলছেন, তাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলনের মুখে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিনেও মহাসড়কে ওই সব অবৈধ ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নছিমন, করিমন চলাচল ও মটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধ হয়নি।
এছাড়া, গত ২০১১ সালের ২২ মে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে এক সভায় ওই বছর ৬ জুনের মধ্যে অবৈধ এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল। প্রথমে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশ ও পরবর্তীতে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দিলেও আজও পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ বাগেরহাটের বিভিন্ন মহাসড়কে এসব অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধ করতে কার্যকারী কোন পদপে গ্রহণ করতে পারেনি। এ অবস্থায় মালিক ও শ্রমিকদের ৮টি সংগঠনের সর্বশেষ যৌথ সভায় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাঁরা অনিদিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে। তারা জানান, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
বাগেরহাটের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, আন্দোলনকারীদের সাথে তাদের দাবির বিষয় নিয়ে সমঝোতার জন্য আলোচনার চলছে। তবে ইজিবাইক, মহেন্দ্র, নছিমন, করিমন বন্ধের জন্য আগে থেকেই প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা পরিবহন ধর্মঘটের কারণে কোন যাত্রীবাহী বাস চলাচল করেনি।ফলে চরম ভোহান্তিতে পড়েছে দক্ষিন অঞ্চলের মানুষ।
যানবাহন সল্পতার কারণে লোকজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে চলাচল করতে হয়েছে নসিমন, করিমন, মাহিন্দ্র, টেম্পু, ইজিবাইক, মটর সাইকের ও ভ্যানগাড়িতে ।
০৪-০৫-২০১৩ ::ইনজামামুল হক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।