ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে আজ থেকে সুন্দরবনের বাঘ শুমারী করতে যাচ্ছে বন বিভাগ।
বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে চালানো এ শুমারীতে আজ থেকে সুন্দরবনের কটকা ও কচিখালী থেকে শুরু হচ্ছে। এজন্য গতকাল শুক্রবার খুলনার সিএসএস আভা সেন্টারে ‘ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে বাঘ শুমারী পরিচালনা এবং মনিটরিংয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সুন্দরবন খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক জহির হোসেন খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ বন বিভাগের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ ইউনুস আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভারতের বন্যপ্রাণী ইন্সটিটিউটের প্রধান জভেন্দ্রদেব ঝালা ও সুন্দরবনের যশোর সার্কেলের সংরক্ষক মোঃ ফারুক হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন, বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. তপন কুমার দে।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, বাঘ হচ্ছে সুন্দরবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। একে রক্ষায় জনগণের মধ্যে বিশেষ করে বন সংলগ্ন জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের সাথে প্রায় ৫ লাখ লোক বিভিন্নভাবে জড়িত। যে কারণে বাঘসহ অন্যান্য বন্যপ্রাণী রক্ষার মধ্যদিয়ে সুন্দরবন রক্ষায় সকলকে এগিয়ে আসা উচিত। বাঘ শুমারীর মূল লক্ষ্যই হচ্ছে সুন্দরবন রক্ষা।
মকচকর্মশালায় আরও বলা হয়, বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে বাঘ শুমারির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। শনিবার সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হবে।
বাঘের সংখ্যা বাড়াতে না পারলেও যে সংখ্যক বাঘ সুন্দরবনে রয়েছে তাকে ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
কর্মশালায় আরও বলা হয়, ১৯০০ সালের প্রথম দিকে সারাবিশ্বে এক লাখ বাঘ ছিল। কিন্তু এ সংখ্যা হ্রাস পেয়ে ৩২০০তে দাঁড়িয়েছে। ২০২২ সাল নাগাদ বিশ্বব্যাপী বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা থাকলেও বিজ্ঞানীদের মতে বাংলাদেশের ৬০১৭ বর্গকিলোমিটারের সুন্দরবনে এটি সম্ভব নয়। কিন্তু বর্তমান সংখ্যাটিকেই ধরে রাখার চেষ্টা করতে হবে বলেও কর্মশালায় বলা হয়। বর্তমানে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে ৪শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ বাঘ রয়েছে বলেও কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।
০৪-০৫-২০১৩ :: বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।