বাগেরহাটের রামপালের মল্লিকের বেড় এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩৫/৩ বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে মল্লিকেবেড় ইউনিয়নের দুটি গ্রামের শতাধিক বাড়ী-ঘর প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পূর্ণিমার জোয়ারের পানির চাপে পয়লাহারা নদীর এই বাধ ভেঙে হু-হু করে জনপদে পানি ঢুকে পড়ে। মূর্হুতের মধ্যে তলিয়ে যায় মাদারদিয়া ও সন্ন্যাসী গ্রামের শতাধিক বাড়ি
এতে ঘরবাড়ী ছাড়াও চিংড়ি ও মৎস্য ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ায় অনেক পরিবার এ দিন রান্না-বান্নার কাজ করতে পারেনি। এ অবস্থায় এলাকাবাসী এখন চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্লাবিত এসব বাড়ির রান্না করার স্থান প্লাবিত হওয়ায় নারী, শিশুসহ অধিকাংশ মানুষ অভূক্ত অবস্থায় রয়েছে। মাদারদিয়া ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম জাস জানান, এই এলাকার ভেড়িবাধটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুকিপূর্ণ থাকায় কয়েকবার সেচ্ছাশ্রমে মেরামত করা হয়েছে। কিন্তু আবারো বাধের কয়েকটি স্থান ফাটল দেখা দেয়। ফলে পূর্ণিমার জোয়ারে পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে খুব সহজেই বাধটি ভেঙে যায়।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ২-৩ দিন এ অবস্থা চলতে থাকলে রামপাল উপজেলার মল্লিকেরবেড় ও বাগেরহাট সদর উপজেলার ডেমা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রাম, চিংড়ি ও মৎস্য খামার তলিয়ে যাবে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তিনি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাধ মেরামতের দাবি করে আরো জানান, জেলা ও উপজেলা প্রসাশনসহ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির পক্ষ থেকে অভূক্ত মানুষের জন্য কোনো ত্রাণ বা শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে দাবি করা হয়েছে, শুষ্ক মৌসুমে চিংড়ি ও মৎস চাষের জন্য একটি প্রভাবশালী মহল প্রতিবছর ৩৫/৩ পোল্ডারের ভেতর পানি উঠানোর জন্য বিভিন্ন পয়েন্টে বাধ কেটে দেয়। এই এবারও অনুরুপ ঘটনা ঘটিয়েছে ওই চক্রটি।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. খলিলুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, সংশ্লিষ্ট এলাকার বেড়িবাঁধটি দূর্বল ছিল। ইতিমধ্যে বেড়িবাঁধ সংষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে।
এসময় অচিরেরই ওই বেড়িবাঁধের সংষ্কার কাজ শুরু হবে তিনি জানান।
২৭-০৪-২০১৩ :: ইনজামামুল হক, বাগেরহাট।।