ঝুকি পূর্ণ কাজে শিশুরা, বাড়ছে শিশুশ্রম, হারাছে শিক্ষার সুয়োগ।
বাংলাদেশের আন্যতম প্রধান সমস্যা হল শিশু শিক্ষার অভাব আর এর সাথেই জড়িয়ে আছে শিশুশ্রম। যার বিস্তার রয়েছে বাগেরহাটেও।
বাগেরহাটে ১০-১৫ বছরের অনেক শিশুই জড়িয়ে পড়ছে শিশুশ্রমের সাথে।
শিশুশ্রমের সাথে জড়িত বেশির ভাগ কম বয়সী মেয়েরা কাছ করছে বিভিন্ন বাসায়। আর ছেলেরা কাজ করছে বিভিন্ন ধরনের ওয়ার্কশপে, ভ্যান-রক্সা চালক হিসাবে, গ্যারেজের কর্মচারী ও বাসের হেল্পার ইত্যদি হিসেবে।
এমনি একটি শিশু বাগেরহাট পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাওসার। তার বয়স ১২ বছর।
এত কম বয়সে ছেলেটি কাছ করে একটি সইকেল গ্যারেজে। সে দুই বছর যাবত কাজ করছে ঐ গ্যারেজে। তার বাবা আলাতাফ খাঁ বর্তমানে কর্মঅক্ষম।
কাওসাররা চার ভাই। কাওসার সকলের ছোট। কিন্তু তার বড় তিন ভাই কর্মক্ষম হলেও তারা কাওসারের দায়িত্ব নিতে চায়না। তাই চাপে পড়ে তার ও তার বাবার পেট চালাতে কাজ করতে হচ্ছে এ বয়সেই।
এমনই আরএকটি ছেলে পৌরসভার ৭নং ওয়ড়ের নাগের বাজার এলাকার রাইসুল(১৩)। জীবিকার তাগিদে রিকসা চালায় সে। তার বাবা ইমতিয়াজ আলী সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় হিসাবে কাজে নামতে হয় তাকে। পরিবারের হাল ধরতে রিকসা চালতে শুরু করে রাইসুল। তার মা রেহেলা আক্তার আন্যের বাসায় কাজ করে।
রাইসুল আমাদের জানয়, তার লেখা পড়া করতে ইচ্ছা থাকলেও দারিদ্রতার কারনে সে তা পারছে না।
এ বিষয়ে বেসরকারি উন্নয়ন সংথা আশ বাংলাদেশ, বাগেরহাটের নির্বাহি পরিচালক মো: কামরুজ্জামান বলেন, শিশুশ্রম হয় তো এখনই নির্মূল করা সমভব নয়। আর দারিদ্রতা থাকলে থাকরে কখনই শিক্ষার কথা মাথায় আসেনা।
তবে তিনি বলেন, যদি এ সকল শিশুদের ভাতার ব্যবস্থা করা যায় হয় তবে কিছুটা হলেও এ পরিস্থিতি থেকে উত্তলন সম্ভব হবে। অন্যদিকে এজন্য তিনি অভিভাবকের নিরক্ষরতাকেও দায়ীকরেন।
বাগেরহাট জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা জনাব মো: আবুল আলম বলেন যে, শিশুশ্রমটা আসে সাধারনত দারিদ্রতা থেকে। আবার অনেকটা আসে দারিদ্র পরিবাররের অভীভাবকদের মনোভাব থেকে। তারা মনে করে যে ছেলে-মেয়ে বড় হলে যদি কিছু আয় করে আনে তাহলে তাদের পরিবারের কিছুটা সচ্ছলতা আসবে। তাই সবচেয়ে আগে সচেতন হতে হবে অভিভাবকদের।
তিনি আরও বলেন, তার এ বিষয় নিয়ে অভিভাবকদের সাথে কথা বলেছেন কিন্তু এতে কোন সুফল হয়নি।
তিনি মনে করেন নিরক্ষরতাই এর জন্য দায়ী। কারন যাই হোক এসব শিশুদের ফিরিয়ে আনা দরকার ঝুকিপূর্ন কাজ খেকে। সেই সাথে সুয়োগ নিশ্চিত করতে হবে শিক্ষা ও স্বাভাবিক বিকাশের।
আর দারিদ্রতাই যদি এ সব শিশুদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসে তবে, তবে দির্ঘ্য মেয়াদে তা নষ্ট করবে সমাজের শৃঙ্খলা। বিপথ গামি করবে এসব শিশুদের।
তাই শিশুশ্রমের সাথে জড়িত এসব শিশুদের দিকে এখনই যথাযথ সু-দৃষ্টি দরকার।
২৫-০৪-২০১৩ :: সৌরভ সোমাদ্দার, শিশু সংবাদিক
বাগেরহাট ইনফো ডটকম।।