উপজেলার জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালীতে মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে পুণ্যধামে শ্রী শ্রী গোপালচাঁদ ঠাকুরের ৩ দিনের ঐতিহ্যবাহী ত্রয়োদশীয় মদন মেলা।
এ বার শত বর্ষে পা রাখল এ মেলা। সোমবার সকালে স্নানের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে সকল কর্মকান্ডের শুরু করবে ভক্তরা।
গোপাল চাঁদ সাধূ ঠাকুরের এ মেলায় শুধূ দেশেরেই নয় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত থেকেও বহু ভক্তের আগমন ঘটে প্রতি বছর। বারুনী স্নানোৎসবের মদ্য দিয়ে বৃহস্পতিবার শেষ হবে তিন দিনের এ মেলা।
মেলা সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খৃষ্টানসহ বিভিন্ন ধর্মের মানুষ শ্রী শ্রী গোপালচাঁদ ঠাকুরের এ মেলা উপভোগ করতে জমায়েত হয়। ১শ’ বছর পূর্বে গোপাল চাঁদ সাধু ঠাকুর মোরেলগঞ্জের জিউধরা ইউনিয়নের লক্ষীখালী গ্রামে একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করলে সেই থেকে প্রতি বছর ওই আশ্রমে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের আসর বসতে থাকে। ওই আসরটি পর্যায়ক্রমে বড় ধরণের মেলায় পরিনত হয়। প্রতি বছর মেলাকে ঘিরে প্রায় দুই লক্ষাধীক লোকর সমাগম ঘটে এখানে।
দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ শ্রী শ্রী গোপালচাঁদ সাধুর মঠ, মেলা উপভোগ ও সাধুর উত্তসূরী গদিনশীন সাধু ঠাকুরের দর্শন ও আর্শিবাদ লাভের জন্য ছুটে আসেন। দূর-দুরান্ত থেকে সাধু ও ভক্তদের এক একটি দল ডঙ্কা, ঢাক, ঢোল, ঝাঁক, চাকি, বাঁশি, শঙ্খ, শিঙ্গা, এক তারা, দোতরাসহ বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র এবং নিশান নিয়ে হরিনামের মাতম তুলে পায়ে হেটে সাধু বাড়িতে পৌছে।
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া থেকে আগত ভক্তবৃন্দের মধ্যে রঞ্জন চন্দ্র মন্ডল জানান, পূণ্য অর্জনের জন্য তারা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও একটি দল নিয়ে সাধুর বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে। ওড়াকান্দি মেলার ১৫দিন পরে মোরেলগঞ্জের হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুরের এ মেলা শুরু হয়।
মেলা উপলক্ষে গতকাল সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জোহর আলী, থানা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মেলাস্থল পরিদর্শন করেন।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন জানান, মেলার নিরাপত্তার সার্থে মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ সর্বাত্তক ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে।