বাগেরহাটের চিতলমারী স্বাস্থ্য কেন্দ্র ৩১ থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্জিত হাজার হাজার মানুষ।
বন্ধ দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে অপারেশন থিয়েটার। চিকিৎসা সেবা নিতে আসা প্রত্যন্ত অঞ্চলের কয়েক’শ নারী-পুরুষ ও শিশু প্রতিদিন বিড়ম্বনার শিকার হয়ে বাড়ি ফিরছে। দীর্ঘদিন ধরে পদ রয়েছে স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ২২ টি গুরুত্বপূর্ণ পদ।
চিতলমারী উপজেলা ৩১ শয্যা স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি চালু হয় ১৯৯৯ সালের ১৮ মে। এ অঞ্চলের রোগির সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলায় প্রায় ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ শয্যার একটি নতুন ভবন নির্মান করে ২০১১ সালের ২২ জুন ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয় এ উপজেলা সাস্থ কেন্দ্রটি।
উদ্বোধনের পর খেকে এখনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রটির ইনডোর চালু না হওয়ায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জরুরী ও মূল্যবান অনেক যন্ত্রপাতি। পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে চিকিৎসা সেবা।
ডাক্তার সংকট, হাসপাতালের নার্সদের অন্যত্রে ডিপুটেশনে রেখে আর্থিক সুবিধা ভোগসহ নানাবিধ অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুণ্য পদের মধ্যে একজন আরএমও, একজন জুনিয়র কনসালটেন্ট (গাইনী), জুনিয়র কনসালটেন্ট (এনএসথেশিয়ান) একজন, মেডিকেল অফিসার ২ জন, ডেন্টাল সার্জন একজন, এ্যাসিসট্যান্ট সার্জন ইউএইচ এ্যান্ড এফডাব্লিউসি ৫ জন, এস্টাটিশটিসিয়ান একজন, ক্যাশিয়ার একজন, স্টোর কিপার একজন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট ল্যাব একজন, সহকারী নার্স একজন, হেলথ ইনেসপেক্টর একজন, হেলথ এ্যাসিসট্যান্ট ৪ জন।
এ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ১২৫টি পদের মধ্যে বর্তমানে কর্মরত আছেন ১০৩ জন । ২২টি শুণ্য পদ নিয়ে জোড়া তালি দিয়ে চলছে হাসপাতালের কার্যক্রম। এ ব্যাপারে টিএইচএ ডাক্তার আঃ সালাম জানান, হাসপাতালটি তার নিজস্ব গতিতে চলছে, কোন সমস্যা হচ্ছে না।
তবে, স্থানীয় চিকিৎসা প্রার্থীদের অভিয়োগ জনবল বা চিকিৎসক সংকট নয় বরং অব্যাবস্থাপনা আর চিকিৎসক, কর্মচারিদের অনা-আগ্রহই হাসপতালের এ বেহাল দশার মূল কারণ।