আন্ত:জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর বাকী তালুকদারকে হত্যার হুমকি এবং যুবলীগ কর্মী কালু হত্যা মামলার প্রধান আসামী আবুবক্কর সিদ্দিকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবি, নইলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের ডাক শ্রমিক নেতাদের।
যুবলীগ কর্মী কালু হত্যা মামলার স্বাক্ষী আন্ত:জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর এ বাকী তালুকদারকে হত্যার হুমকি দিয়েছে ওই মামলার প্রধান আসামী আবুবক্কর সিদ্দিক। এ ঘটনায় হুমকি প্রদানকারিকে আটকের দাবীতে সোমবার বেলা ১০ থেকে ১০.৩৫ টা পর্যন্ত বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের অবরোধ করে শ্রমিক নেতারা। পরে প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
এসময় বন্ধ হয়ে যায় বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়কের সকল প্রকার যান চলাচল।
এদিকে দুপুর ১২টার বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে কালু হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতার ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবী করেন পৌর কাউন্সিল ও শ্রমিক নেতা বাকী তালুকদার।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, গত ৮ এপ্রিল বাগেরহাট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক মাসুদ মোল্লাকে হত্যার উদ্দেশে চিহিৃত সন্ত্রাসী আবুবক্কর গুলি ছোড়ে। এ সময় লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে সৈকত নামের এক শিশু গুলিবিদ্ধ হয়। এর দু ঘণ্টা পর নাগেরবাজার এলাকায় যুবলীগ কর্মী কালুকে গুলি করে হত্যা করে।
এ ঘটনায় বাগেরহাট মডেল থানায় মামলা হলেও পুলিশ এখনওআসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ এই মামলা থেকে বাঁচতে নাগেরবাজার এলাকার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাছিবুল হাসান শিপন মিনা ও শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি সরদার মাসুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি কাউন্টার মামলা দায়ের করে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।
এরপর কালু হত্যার প্রধান আসামি আবুবক্কর সিদ্দিক মামলার স্বাক্ষী আন্তঃজেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর বাকী তালুকদারকে ১৩ এপ্রিল রাতে মোবাইলে হত্যার হুমকি দেয়।
হুমকির ঘটনাসহ আসামিদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা না হলে বৃহস্পতিবার থেকে লাগাতার পরিবহন ধর্মঘটের আল্টিমেটাম দেয় নেতারা।