বাগেরহাট সদরে যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ৫দিন পর নিরাপত্তা ঝুকি জানিয়ে পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন।
বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খাঁন হাবিবুর রহমান বর্তমানে নিজের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তিনি নরসিংদির মেয়র লোকমান হোসেনের মত নিজ দলের সন্ত্রাসীদের হাতে এরূপ ঘটনা ঘটতে পারে বলে শংঙ্কা প্রকাশ করেছেন। শনিবার দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশংকার কথা ব্যক্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সময় পুলিশের তালিকাভূক্ত সন্ত্রাসী ও চোর-ডাকাতরা বিভিন্ন অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে গত ৮ এপ্রিল রাতে মেয়র খাঁন হাবিবুর রহমানের বাড়ীর সামনে অবস্থান নিয়ে তাকে গালিগালাজ করে। এমন কি ওই সন্ত্রাসীরা ৩ ভাগে বিভক্ত হয়ে গুলিবর্ষন শুরু করে।
আর তাদের ছোঁড়া গুলিতে তাদের গ্রুপের এক সদস্য নিহত হয়। নিহত কালু একজন সন্ত্রাসী। সে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোন সদস্য নয়। নিহত কালুকে যুবলীগ কর্মী পরিচয় দিয়ে তাকে সমাজে হেয় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে তার ৩ ভাইপো ও ২ শ্যালকের নামে মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে।
প্রকৃতপক্ষে ওই দিন তারা বাড়ীতে পর্যন্ত ছিল না। এর আগে ওই সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রকাশ্যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শহরের মটর সাইকেল মহড়া দেয়। যার কারণে পৌরবাসী ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়ে। সংবাদ সম্মেলনে মেয়র ওই হত্যার ঘটনাটি পুলিশ সুপারকে নিজে তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন।
এদিকে, গত ৮ এপ্রিলের ঘটনায় নিহত যুবলীগ কর্মী কালু শেখের হত্যা কারিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিকালে শহরে মিছিল করেছে যুবলীগ।