মংলার দিগরাজ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ে এইচ,এস,সি পরীক্ষায় নকল করতে বাধা দেয়ায় তিন শিক্ষককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে শিক্ষার্থীরা।
চলতি উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে দ্বিগরাজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া এ সময় প্রায় আধঘন্টা ধরে ৯ জন শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখে দিগরাজ কলেজের কয়েক শিক্ষার্থী। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
আহত শিক্ষকরা হলেন, মংলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক অজিত কুমার পাল, ক্রীড়া শিক্ষক আ: জব্বার ও বঙ্গবন্ধ মহিলা কলেজের জীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক বিকাশ মন্ডল।
মংলা কলেজ ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষকরা জানান, শনিবার দিগরাজ ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত এইচ.এস.সি ইংরেজী ২য় পত্রের পরীক্ষার প্রত্যাবেক্ষক হিসেবে মংলা কলেজ ও বঙ্গবন্ধু কলেজের ১২ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরীক্ষার হলে দিগরাজ কলেজের ছাত্ররা নকল ও একে অপরের খাতা দেখা-দেখি করলে শিক্ষকরা তাতে বাধা দেয়।
এ ঘটনায় আহত মংলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক অজিত কুমার পাল আমাদের জানান, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ইংরাজী দ্বিতীয় পত্রের প্রত্যাবেক্ষক হিসেবে শনিবার সকালে দ্বিগরাজ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে তিনি দ্বায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় এক ছাত্রের হাতের উপর প্রশ্নের উত্তর লেখা দেখে তিনি লেখাটি মুছে ফেলতে বাধ্য করেন। এতে ওই ছাত্রটি পরীক্ষার পর দেখে নেবার হুমকি দেয় তাকে।
পরে পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর দুপুর আড়াইটার সময় ৫-৬জন যুবকের নেত্রীতে দিগরাজ কলেজের ২০/২৫ জন শিক্ষার্থী এক জোট হয়ে সন্ত্রাসী স্টাইলে তার উপর লাঠি সোটা নিয়ে হামলা চালায়। এ সময় বাধা দিতে আসলে শিক্ষক জব্বার ও বিকাশ বেধড়ক পিটুনীর শিকার হন।
পরে আহত শিক্ষকদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এসময় প্রত্যক্ষদর্শী এক পরীক্ষার্থী হামলাকারী দুই পরীক্ষার্থী মৃদুল ও মুন্নার পরিচয় নিশ্চিত করেছে।
পরীক্ষার ওই কেন্দ্রটি সব সময় নকল মুক্ত দাবী করে কেন্দ্রের হল সচিব ও দিগরাজ কলেজের অধ্যক্ষ মো: মোতাহার বলেন, কেন্দ্র থেকে বেশ দূরে এ দুঃখ জনক ঘটনা ঘটেছে। যে সকল শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের চিহিৃত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ঐ দুই পরীক্ষার্থীর এ হামলার সাথে জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করেছে।
এদিকে মংলা কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম সরোয়ার বলেন, নকলে বাধা দেয়ায় দিগরাজ কলেজের শিক্ষার্থীরা মংলা ও বঙ্গবন্ধু মহিলা কলেজের শিক্ষকদের মারপিট করেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মো: মিজানুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে ১জনকে আটক করা হয়েছে, এ ঘটনায় মামলা দায়ের হবে।
এদিকে আহত শিক্ষকেরা সাংবাদিকদের বলেন, নিরাপত্তার অভাবে তারা দিগরাজ কলেজে আর কোন পরীক্ষায় প্রত্যাবেক্ষক হিসেবে যাবেন না বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করবেন।
বিকাল সাড়ে ৫টায় হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে রাসেল নামে একজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মংলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুনিরুল গিয়াস। তিনি বলেন, হামলাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ মাঠে নেমেছে।
ভোলার চরফ্যাশন ফাতেমা-মতিন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে শনিবার এইচএসসির ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষা নকল করতে না দেয়ায় দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ওপর হামলা চালিয়ে শারীরিরভাবে লাঞ্ছিত করেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
……এই মাত্র একটি Online news site এ সংবাদটা পড়লাম।