নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
অনুমোদন ছাড়াই বাগেরহাটে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে গবাদিপশুর ওষুধ উৎপাদন করে আসছিলেন একব্যক্তি। ব্যবহার করছিলেন ভুয়া নাম ও ঠিকানা।
বুধবার (০৮ জুলাই) শহরতলীর দশানী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ‘টি এস এগ্রোভেট’ নামের এমন এক প্রতিষ্ঠানের হদিস পায় উপজেলা প্রশাসন। এ সময় সেখান থেকে অনুমোদন ছাড়া উৎপাদিত গবাদিপশু বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ও ওষুধ তৈরির কাঁচামাল জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বাগেরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম এই অভিজান চালান। এ ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী গোবিন্দ চক্রবর্তীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ইউএনও মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, ওই ব্যক্তি স্থানীয় পৌরসভা থেকে দশানী এলাকায় ভাড়া করা বাড়ির ঠিকানায় টি এস এগ্রোভেট নামে একটি ট্রেড লাইসেন্স ছাড়া কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ভাড়া নেওয়া বাড়িতে বিভিন্ন ধরণের কেমিক্যাল ও কাঁচামাল ব্যবহার করে গবাদিপশুর নানা ধরণের ওষুধ তৈরি করতেন তিনি। যার কোন ধরণের লাইসেন্স বা অনুমোদন ছিলনা।
টি এস এগ্রোভেট নাম দিয়ে এখানে তৈরি ওষুধের গায়ে (লেভেলে) ব্যবহার করা হচ্ছিল ঢাকা-বাংলাদেশ ঠিকানা। এসব অসংগতির কারণে ওই ব্যক্তিকে ১৯৪০ সালের ড্রাগ আইনের ১৮(১২) ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে প্রতিষ্ঠানে পাওয়া ১৩ ধরনের বিপুল নকল ওষুধ জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ওষুধ প্রশাসনেরর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই ব্যক্তি দাবি করেন বৈধ অনুমোদিতর জন্য তার প্রতিষ্ঠান আবেদন করছেন। তবে প্রতিষ্ঠানটিতে ওষুধ উৎপাদনের জন্য যে ধরণের পরিবেশ বা ল্যাবের প্রয়োজন তার কিছুই ছিলনা।
স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই বছর ধরে এখানে কিছু লোক আসা যাওয়া করে। দিনে দুপুরেও দরজা জানালা আটকিয়ে ভিতরে কাজ করে। মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরিবহনে গবাদি পশুর ঔষধ সরবরাহ করা হত। আজকে জানতে পারলাম এখান থেকে নকল ঔষধ সরবরাহ করা হত।
এসআই/আইএইচ/বিআই/০৮ জুলাই, ২০২০