নিউজ ডেস্ক
সামাজিক দূরত্ব না মানা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে অবহেলার কারণে বাগেরহাট শহরের সকল পোশাক, জুতা ও কসমেটিকস্-এর দোকান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে।
রোববার (১৭ মে) বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কমিটির’ জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জেলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির, পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিনে, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন, কাড়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ বশিরুল ইসলামসহ চেম্বার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের সিদ্ধান্তক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে শাড়ী কাপড়, ছিট কাপড়, কাটা কাপড়, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস আইটেম, জুতা, কসমেটিকসের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখ লিয়াকত হোসেন বলেন, ঈদ উপলক্ষে নারী ও শিশুরা বিপনী পোশাক ও কসমেটিকসের দোকা খুব ভিড় করছিল। ক্রেতা-বিক্রেতা কেউই স্বাস্থ্য বিধি মানছিল না। পৌর সভা ও চেম্বার অব কমার্সের স্বেচ্ছাসেবকরাও ক্রেত্রা-বিক্রেতাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। তাই আমরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শহরের সকল শাড়ী কাপড়, ছিট কাপড়, কাটা কাপড়, তৈরি পোশাক, গার্মেন্টস আইটেম, জুতা, কসমেটিকসের দোকান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে বাগেরহাট জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সভায় বাগেরহাট শহরের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান ছাড়া বাজারের মার্কেট ও দোকান বন্ধ রাখার সিদ্দান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বলবত থাকবে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীতে সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যে দেড় মাস বন্ধ থাকার পর ঈদকে সামনে রেখে গেল ১০ মে থেকে বাগেরহাট দোকানপাট খোলে। প্রথম দিন থেকেই রাস্তা ঘাটে তৈরি হয় উপচে পড়া ভিড়। এরপর থেকেই দোকান-মার্কেট বন্ধের দাবি উঠে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১৭ মে, ২০২০