বাগেরহাট সদর ও শরণখোলায় ঢাকা ফেরত দুজনের করোনা শনাক্ত।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ঈদ আসন্ন, তাই দোকানে নতুন পোশাক তুলতে মালিক গিয়েছিলেন ঢাকায়। সেখান থেকে কেনাকাটা সেরে ফিরেছেনও। কিন্তু কদিন বাদে জানা গেল তিনি করোনা আক্রান্ত।
তবে অনেক দিন বাদে মার্কেট খোলা; আর ঈদকে সামনে রেখে নতুন নতুন পোশাক তোলায় গেল কদিন ধরেই বাজারের ওই দোকানটিতে ভিড় ছিল বেশি। ঢাকা থেকে ফিরে নিয়মিত দোকানে আশা যাওয়াও ছিল তার।
এভাবে চারদিন চলার পর জানা গেছে, বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজারের এক দোকানী করোনা আক্রান্ত। শনিবার (১৬ মে) সন্ধ্যায় তার করোনা পরীক্ষার ফল ‘পজেটিভ’ আসে। এরপর রাতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার।
শরণখোলার এক ব্যবসায়ীসহ এদিন জেলায় মোট দুজনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত অন্যজনের বাড়ি বাগেরহাট সদরে।
শনিবার (১৬ মে) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষায় তাদের দুজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আক্রান্ত নারী (৩০) ঢাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। গত ১৩ মে তিনি সেখান থেকে বাগেরহাট সদরের ষাটগুম্বজ ইউনিয়নের রনবিজয়পুর গ্রামের নিজ বাড়িতে ফেরেন। তার করোনার কোন উপসর্গ ছিলনা। কিন্তু যেহেতু ঢাকা বর্তমানে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ, তাই উপসর্গ না থাকলেও গত ১৪ মে স্বাস্থ্য বিভাগ তার নমুনা সংগ্রহ করে।
ওই নমুনা পরীক্ষায় শনিবার তার করোনা শনাক্ত হয়েছে। তিনি বাড়িতে আছেন এবং শারীরিকভাবেও সুস্থ। করোনা ধরা পড়ায় আক্রান্ত নারী গার্মেন্টস শ্রমিকের বাড়িসহ আশপাশের ৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন বলেন, ‘শরণখোলায় শনাক্ত রোগীও ঢাকা ফেরত। তিনি এলাকাতেই ছিলেন। কিন্তু দোকান খোলায় কদিন আগে গার্মেন্টস পণ্য কিনতে ঢাকা গিয়ে ছিলেন। গত ১২ মে ঢাকা থেকে ফেরার পর ১৩ মে স্বাস্থ্য বিভাগ পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করে।’
ওই ব্যবসায়ীরও করোনার কোন উপসর্গ ছিলনা। তিনি বর্তমানে তার দোকানের গোডাউনে আছেন।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরদার মোস্তফা শাহিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, করোনা শনাক্ত হওয়া ব্যক্তি রায়ন্দা বাজারের একটি মার্কেটের দোকানী। ঢাকা থেকে ফেরার পরও তিনি সার্বক্ষণিক দোকানে না বসলেও তার দোকান খোলা ছিল। করোনা শনাক্তের পর আমরা উপজেলা সদরের রায়েন্দা বাজার পুরোটা লকডাউন করেছি।
‘দোকানের সব কর্মচারিকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারিন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। কারা কারা তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন, আমরা তা জানতে চেষ্টা করছি।’
ইউএনও আরও বলেন, কাল থেকে রায়েন্দা বাজারের বাজারের সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। আক্রান্ত ব্যক্তি বাজারে তার দোকানের পাশে একটি গোডাউনে আছেন। তিনি সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছেন। চিকিৎসকরা তার খোঁজ খবর নিয়েছে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১০ মে, ২০২০