নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। অবশ্য প্রথমে তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ এসেছিল।
বুধবার (১৩ মে) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবরেটরিতে দ্বিতীয় দফা নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়।
কচুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মনিশংকর পাইক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আক্রান্ত ব্যক্তির বয়স ২৭ বছর। ওই যুবকের বাড়ি উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) গোপালপুর গ্রামে। সে স্থানীয় এক নারী ইউপি সদস্যের ছেলে।
গেল শুক্রবার, ৮ মে ঢাকা থেকে করোনা উপসর্গ নিয়ে বাড়িতে আসেন তিনি। করোনা ধরা পড়ায় তাদের বাড়িসহ আশপাশের ৭টি বাড়ি লকডাউন করা করেছে উপজেলা প্রশাসন।
এ নিয়ে গেল তিন দিনে বাগেরহাটে ৪ জনের করোনা ধরা পড়লো। এর মধ্যে গত রোববার (১০ মে) কচুয়ার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে ঢাকা হয়ে চট্টগ্রাম থেকে ফেরা এক নারী এবং সোমবার (১১ মে) চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের চরচিংগুড়ি গ্রামে ঢাকা ফেরত পোশাক শ্রমিক দম্পতির করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
‘করোনা’ ইনফো:
বাগেরহাট জেলা
- মোট আক্রান্ত ৭
- সুস্থ্য ২, মৃত্যু ১
- বর্তমানে ‘পজেটিভ’ রোগী ৪
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও মনিশংকর পাইক বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘গোপালপুর গ্রামে স্থানীয় ইউপি মেম্বরের ছোট ছেলে গেল শুক্রবার ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরে। তিনি সেখানে (ঢাকায়) উচ্চ আদালতের একজন আইনজীবীর গাড়ি চালাতেন। করোনার সব ধরণের উপসর্গ থাকায় তাঁকে স্থাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।’
পরদিন শনিবার তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার (১২ মে) তাঁর করোনা পরীক্ষার ফল ‘নেগেটিভ’ আসে। এরপর তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হওয়া হয়।
তবে করোনার সব উপসর্গ থাকায় সন্দেহ থেকে বাসায় যাওয়া আগে ওই যুবকের দ্বিতীয় দফা নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়।
‘ভর্তি থাকা অন্য এক রোগীর করোনা ধরা পড়ায় মঙ্গলবার হাসপাতালের সব চিকিৎসক ও কর্মীদের স্ক্রিনিং জন্য নমুনা নিয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই সাথে দ্বিতীয় দফায় সংগ্রহ করা ওই যুবকের নমুনাও পুনারায় পাঠানো হয়।’
মনিশংকর জানান, বাড়িতে গেলেও উপসর্গ থাক ওই যুবককে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দফায় সংগ্রহ কারা তাঁর নমুনা পরীক্ষার ফল ‘পজেটিভ’ আসে।
করোনা ধরা পড়ায় ওই ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে এনে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। প্রাথমিকভাবে রোগীর পরিবারের দুজন, মা ও বড় ভাই তাঁর সংস্পর্শে এসেছিল বলে জানা গেছে। রোগীর ইউপি সদস্য মাকেও এনে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুজিৎ দেবনাথ বলেন, করোনা আক্রান্ত যুবকের বাড়িসহ আশপাশের ৭টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১৩ মে, ২০২০/আপডেট