নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে আরও একজনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। আক্রান্ত নারীর বাড়ি জেলার কচুয়া উপজেলার রাড়ীপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামে।
রোববার (১০ মে) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় তাঁর করোনা শনাক্ত হয়।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। করোনা শনাক্ত হওয়ায় ওই গ্রামের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম থেকে আসা ২৫ বছর বয়সী ওই নারী বর্তমানে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন। তিনি মোটামুটি সুস্থ আছেন।
ওই নারীর বরাত দিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. মনিশংকর পাইক মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, তিনি গার্মেন্টসে কাজের জন্য কিছু দিন আগে চট্টগ্রাম গেছিলেন। লকডাউনের কারণে কাজ না হওয়ায় ঢাকা হয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। এখানে তিনি তার ভাইয়ের বাড়িতে থাকতেন। তার স্বামী একজন ফেরিওয়ালা। তবে বর্তমানে তিনি ভারতে আছেন।
গেল বৃহস্পতিবার রাতে বাড়িতে এলে স্থানীয় লোকজন ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আসার খবরে তাকে বাড়িতে উঠতে বাঁধা দেন। পরে শুক্রবার তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে স্বাস্থ্য বিভাগ তাকে সেখানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখেন। তবে তাঁর শরীরে কোন উপসর্গ ছিলনা বলে জানান ওই চিকিৎসক।
কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. মনজুরুল আলম জানান, গত শনিবার ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য খুলনার পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। রোববার নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসায় বাগেরহাট স্বাস্থ্য বিভাগকে জানানো হয়েছে।
রাতে কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমওসহ প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগরে একটি দল ওই এলাকাতে গেছেন। তারা ওই নারীর যে বাড়িতে ছিলেন সেই ভাইসহ পাশাপাশি ৩ ভাইয়ের বাড়ি লকডাউন করেছে।
ইউএনও সুজিৎ দেবনাথ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকেকে বলেন, ওই নারী বর্তমানে হাসপাতালে আছেন। বাড়িতে আসার পর থেকেই তিনি পৃথকভাবে ছিলেন। তার পরও কারা তার সংস্পর্শে এসেছেন, আমরা তা জানতে চেষ্টা করছি। সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নমুনা সংগ্রহ করবে।
ওই নারী এলাকাতে আসর পর থেকেই সে যে বাড়িতে ছিল ওই বাড়িতে লালপতাকা টানিয়ে দেওয়া হয়। ওই বাড়িসহ আশপাশের তিনটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, লকডাউন করা পরিবারগুলোকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্রসামগ্রী প্রদানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গত ১৪ এপ্রিল জেলার চিতলমারীতে প্রথম করোনা শনাক্ত হয়। এনিয়ে বাগেরহাটে মোট ৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। যারা সবাই অন্য জেলা থেকে আক্রান্ত হয়ে এসেছেন। করোনা শনাক্তদের মধ্যে একজনকে মৃত্যুর পর বাগেরহাটে আনা হয়। অপর দুজন বর্তমানে সুস্থ আছেন। তাদের ফলও ‘নেগেটিভ’ এসেছে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১০ মে, ২০২০