নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
চিকিৎসায় অবহেলায় বৃদ্ধার মৃত্যুর অভিযোগ তুলে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের নার্স ও আয়াদের মারধর এবং একটি কক্ষে ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যার এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ এপ্রিল) বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা হয়েছে। মারধরে জড়িত এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মারধরে আহতরা হলেন, বাগেরহাট সদর হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স মিনারা খানম (৫৫), আয়া কোমেলা বেগম (৩৭) ও লাবনী বেগম (৩৯)। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মিনারা বেগমকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ও সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, রোববার বিকেল ৫টার দিকে শহরের বণিকপট্টি এলাকার নমিতা রানী পাল নামে সত্তরোর্ধ এক নারীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আনেন তার স্বজনরা। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। কিন্তু তারা খুলনায় না গিয়ে এখানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য বলেন।
‘আমরা তাকে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া শুরু করি। কিন্তু চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এরপর রোগীর সঙ্গে আসা লোকজন নার্স ও আয়াদের মারধর করেন। তারা নার্সদের একটি কক্ষ ভাংচুর করে। তাদের মারধরে একজন জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্সের নাক ফেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে তার।’
এ ঘটনায় সোমবার বাগেরহাট সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে— বলেন ডা. কে এম হুমুায়ুন কবির।
নিহত নমিতা পাল বাগেরহাট শহরের বণিকপট্টি এলাকার মনিমোহন পালের স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ তার ছেলে মানস পালকে (৩৮) গ্রেপ্তার করেছে।
বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, হাসপাতালে ভাঙচুর এবং নার্স ও স্টাফদের মারধরের ঘটনায় আহত সিনিয়র স্টাফ নার্স মিনারা খানম বাদি হয়ে একাটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
এসআই/আইএইচ/বিআই/২০ এপ্রিল, ২০২০