নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
মানুষের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বাড়াতে বাগেরহাটের জনসমাগম হওয়া বড় বড় হাটবাজারগুলোকে স্থানান্তর করার কাজ শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কেনার ক্ষেত্রেও মানুষ যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে পারে সে জন্য জেলা প্রশাসন এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
গেল এক সপ্তাহে জেলার অন্তত ৩০টি বড় হাটবাজার পাশের স্কুল অথবা খেলার মাঠে স্থানান্তর করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে এসব হাটবাজার নিয়মিত বসতে শুরু করেছে।
বাগেরহাট জেলায় জনসমাগমের বড় হাটের মধ্যে রয়েছে হযরত খানজাহানের মাজার (দরগা) হাট, চুলকাঠি, সিএন্ডবি বাজার, যাত্রাপুর, বারুইপাড়া, ফকিরহাট, বাধাল, চাকশ্রী, পোলেরহাট, ফয়লাহাট।
বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে বড় জায়গা হাট বাজার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কারণ গ্রামীন হাটগুলোতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। একই সাথে এই হাটগুলো এলাকার মানুষের জীবিকার সাথে নিবিড় ভাবে সম্পর্কিত।
এই হাটগুলোতে মানুষ প্রয়োজনীয় কেনাকাটা ও ব্যবসার ক্ষেত্রের যাতে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলে এজন্য এই উদ্যোগ। সদর উপজেলার অন্তত দশটি বড় হাটকে স্থানান্তর করে স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে নিয়েছি।
গত মঙ্গলবার থেকে এসব হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তিন মিটার দূরত্ব মেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিক্রি শুরু করেছে। এখান মানুষজনও এখন সামজিক দূরত্ব মেনে কেনাকাটা করতে পারছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বাগেরহাট জেলার নয় উপজেলায় ছোট বড় মিলিয়ে ১৬০টি হাটবাজার রয়েছে। প্রতিটি হাট সপ্তাহে দুদিন বসে থাকে। এর মধ্যে জেলার অন্তত ৩০টি হাটে বিপুল পরিমান মানুষের সমাগম হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হওয়ার সবচেয়ে বড় জায়গা হচ্ছে জনসমাগম।
এই হাটবাজারগুলোতে প্রতিদিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিড় লেগেই থাকে। সাধারণ মানুষ একেবারেই সামাজিক দূরত্ব মানছে না। সামাজিক দূরত্ব না মানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত জরিমানা করছে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল দিয়েও তাদের থামাতে পারছে না।
তাই আমরা জনসমাগমের বড় স্থল হাটবাজারগুলোতে যাতে সমবাই দূরত্ব মেনে বাজারঘাট করতে পারে সেজন্য একেক হাটের বাস্তবতা বুঝে স্থানান্তর করতে শুরু করেছি। এখন পর্যন্ত জেলার অন্তত ৩০টি বড় হাট স্কুল ও খেলার মাঠে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এজি/আইএইচ/বিআই/১৮ এপ্রিল, ২০২০