নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা না মেনে রাস্তায় ঘোরাফেরা ও সামাজিক দূরত্ব না মানায় বাগেরহাটে আরও ৬১ জনকে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এ নিয়ে দুদিনে জেলায় মোট ১২৬ জনকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে সম্প্রতি বাগেরহাটে আসা ৭৮৫ জনকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ এপ্রিল) বাগেরহাটের ৯ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬১ জনকে মোট ৩১ হাজার ১৫০ টাকা অর্থদণ্ড করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এরআগে সোমবার জেলা ও উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই অভিযোগে ৬৫ জনকে ৫১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করে।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুজ্জামান বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের না হতে সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। পাশাপাশি অতি জরুরি প্রয়োজনে কেউ বের হলেও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার তাগিদ দেওয়া হচ্ছে। লোকজনের স্থানান্তর রোধে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সব ধরনের যান চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ বিষয়ে বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও যারা সরকারি নির্দেশনা মানছে না, তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন প্রশাসন।
এদিকে বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায় গেল কয়েক দিনে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকাসহ অন্য জেলা থেকে এসেছে বলে নিশ্চিত হওয়া ৭৮৫ জনকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, করোনার সংক্রমণ রোধে নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা, মাদারীপুরসহ অন্য জেলা থেকে বাগেরহাটে আসা ৭৮৫ জনকে নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। তাদের বাড়িতে লাল পতাকাও টানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
করোনার বিস্তার রোধে সবাইকে সরকারি নির্দেশনা পালন করতে হবে। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পাশাপাশি সবাইকে ঘরে থাকতে হবে।
সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সেনাবাহিনী, পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি জেলায় মোট ২৯টি ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীনুজ্জামান ।
করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে সরকারি নির্দেশনা অমান্যের দায়ে মঙ্গলবার জেলায় ৬১ জনসহ গেল ৬ দিনে বাগেরহাটে মোট ৪২৮ জনকে অর্থদণ্ড করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১৫ এপ্রিল, ২০২০