ডেস্ক রিপোর্ট, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বিভাগীয় শহর খুলনাতে প্রথম করোনা আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরআগে পাশের জেলা যশোরেও একজন এই ভাইরাসে আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়।
সোমবার (১৩ এপ্রিল) খুলনা মেডিক্যাল কলেজের (খুমেক) মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পলিমারেজ চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনে স্যাম্পল পরীক্ষার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
এনিয়ে গোপালগঞ্জের পর বাগেরহাটের আরেক সীমান্তবর্তী জেলায় করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হলো।
খুলনা আক্রান্ত ব্যক্তির বাড়ি মহানগরীর ছোট বয়রা করিমনগর এলাকায়। তিনি অবসরপ্রাপ্ত একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।
খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে এই হত্য নিশ্চিত করে বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৪ এপ্রিল তাবলীগ জামাত থেকে খুলনার নিজ বাড়িতে ফিরেছেন। এরপর তিনি নিজ উদ্যোগেই ১২ এপ্রিল খুমেক হাসপাতালে গিয়ে ফ্লু কর্নারের মাধ্যমে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন। যা পিসিআর মিশিনে পরীক্ষা করা হয়।
১৩ এপ্রিল বিকেলে খুমেকের পিসিআর মেশিনে তাঁর নমুনা পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। এটিই খুলনায় প্রথম করোনা রোগী।
তিনি জানান, খুলনার প্রথম শনাক্ত হওয়া ওই ব্যাক্তি সুস্থ আছেন। তার শারীরিক অবস্থার কোনও অবনতি হয়নি। এ কারণে রোগীকে আপাতত নিজ বাড়িতেই রাখা হয়েছে।
তার সংস্পর্শে থাকা ব্যক্তিদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে রোগীর বাসভবনসহ আশপাশের এলাকা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আক্রান্তের হালকা কাঁশি ছিল। তবে, জ্বর, গলা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট ছিল না। করোনা শনাক্তের পর তার বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত রোগীর ছেলে জানান, তার বাবা গত ৬ ডিসেম্বর খুলনা থেকে তাবলীগ জামাতের উদ্দেশে নরসিংদীতে যান। গত ৪ এপ্রিল তিনি নরসিংদী থেকে বাসায় ফিরে আসেন। তার সর্দি ও জ্বর রয়েছে। তবে, তার গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নেই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যক্তি তাবলীগের তিন চিল্লায় (১২০ দিন) গিয়েছিলেন। সর্বশেষ তিনি ঢাকা ও নরসিংদীতে তাবলীগে ছিলেন।
উল্লেখ্য, খুলনা মেডিক্যাল কলেজে পিসিআর মেশিন স্থাপনের পর গত ৭ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ২শ’টি স্যাম্পল পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে দুটি নমুনা পরীক্ষার ফল পজিটিভ পাওয়া গেছে। যার একটি খুলনা করিমনগরের ও আপরটি যশোরের মনিরামপুরের।
বিটি/বিএনটু/আইএইচ/বিআই/১৩ এপ্রিল, ২০২০