নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটে জ্বর, সর্দি-কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে ঢাকা থেকে আসা একই পরিবারের ৫ জনসহ ৬ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ এপ্রিল) সকালে সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের কোদলা এবং বেমরতা ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামে থেকে এনে তাদের বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জ্বরসহ করোনার উপসর্গ থাকায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শনিবার ভোর রাতে ওই ব্যক্তিরা এ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরেন বলে দাবি প্রতিবেশিদের।
শনিবার করোনার উপসর্গ আছে এমন ২৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এরআগে জেলায় আরও ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যাদের কারও করোনা সনাক্ত হয়নি।
এদিকে জ্বর, সর্দি ও কাশি দেখা দেওয়ায় সতর্কতা হিসেবে বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে বাগেরহাট সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসককে।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. বেলফার হোসেন বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, জ্বরসহ কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় সতর্কতা হিসেবে আমাদের এক সহকর্মী চিকিৎসকে ছুটি দিয়ে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, বাগেরহাট সদর উপজেলার একটি গ্রামে ঢাকা থেকে ফেরা একই পরিবারের নারী-শিশুসহ পাঁচজন বাড়িতে অসুস্থ, এমন খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি মেডিকেল টিম সেখানে যায়। জ্বার, সর্দি-কাশিসহ তাদের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় হাসপাতালে নিয়ে এসে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আরেকটি গ্রাম থেকে উপসর্গ থাকা আরও একজনকে আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে।
আইসোলেশনে ভর্তি ছয় জনের মধ্যে ১ শিশু, ২ নারী ও ৩ জন পুরুষ। তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আরএমও বলেন, ‘হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি রোগীদের স্যাম্পল (নমুনা) সংগ্রহ করে রোববার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, করোনাভাইরাসের উপসর্গ আছে, এখন পর্যন্ত জেলায় আমরা এমন ৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছি। এরমধ্যে শনিবার ২৮টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ইতপূর্বে পাঠানো ২০টি নমুনার সকলেই করোনা নেগেটিভ। তারা সবাই সুস্থ আছেন। কেউই করোনা আক্রান্ত হয়নি।
করোনা থেকে বাঁচতে সকলকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শনিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা ব্যক্তিরা ভোর রাতে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি আসেন বলে ফোনে স্বাস্থ্য বিভাগে জানায় স্থানীয়রা। পরে আমরা তাদের এনে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিদ দূরত্ব না মানাসহ সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় গেল ২৪ ঘন্টায় জেলায় ৯৫ জনকে ৬৬ হাজার ২৫০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এসআই/আইএইচ/বিআই/১১ এপ্রিল, ২০২০