নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিন বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন পাঠ্যপুস্তক তুলে দেওয়া হয়েছে। নতুন বই পেয়ে শিশুশিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠে।
এবার বাগেরহাটে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও সমমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ১০ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে বই বিতরণ করা হচ্ছে। বুধবার (১ জানুয়ারি) শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে শিক্ষা বিভাগ শিশু-কিশোরদের মাঝে এই পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করে।
এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের ছয় শতাধিক বিদ্যালয়ের ৮লাখ ৫৫ হাজার ৪৩৭টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৯১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২৩ লাখ ৭২ হাজার ৭০৬ টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।
বুধবার মাধ্যমিক পর্যায়ে বাগেরহাট শহরের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ।
বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিপক রঞ্জন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায়, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ও সহকারী পরিদর্শক সুধাংশু কুমার মন্ডল। পরে প্রাথমিক পর্যায়ে বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পৌরসভার ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেন জেলা প্রশাসক।
এদিকে বছরের প্রথম দিনেই বই হাতে পাওয়ায় দারুণ আনন্দে শিক্ষার্থীরা। নতুন বই হাতে নিয়ে উচ্ছ্বাস ছিল তাদের চোখে মুখে। প্রতিবছর এমন উদ্যোগে খুশি অভিভাবকরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন সরকারকে। একই সাথে অনুশীলন বইসহ নানা নামে বাজারে থাকা নোট, গাইড এবং কোচিং বাণিজ্য বন্ধেরও আহ্বান তাদের।
আরও পড়ুন: ‘মানুষ গড়ার শিক্ষাকে গুরুত্ব দিতে হবে’
সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক শারমিন সুলতানা বলেন, সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। একই সাথে স্কুলগুলোতে ঠিকমত ক্লাস হলে এবং শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হলে আরও ভালো হয়।
সেই সাথে নোট ও গাইড বই বন্ধ হলে সরকারের এই উদ্যোগের পুরোপুরি সুফল মিলবে।
এই বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত ইসলাম বলেন, নতুন বছরের প্রথম দিনে বই পেয়ে আমাদের খুব ভালো লাগছে। প্রতি বছরই নতুন ক্লাসের প্রথম দিনে নতুন বই পেতে খুব আনন্দের। বইগুলো দেখছি। বছরের প্রথম থেকেই বই পড়বো এবং নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসব।
এজি/আইএইচ/বিআই/১ জানুয়ারি, ২০২০