নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট ইনফো ডটকম
দলের নেতা-কর্মীদের ‘সুসংগঠিত থাকার’ আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দীন বলেছেন, ‘আপনারা সংগঠিত থাকলে বিএনপি-জামায়াতের এই দেশে আর রাজনীতি থাকবে না।’
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে এ কথা বলেন শেখ হেলাল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র বাগেরহাট-১ আসনের সাংসদ শেখ হেলাল উদ্দীন।
তিনি বলেন, ‘দল সুসংগঠিত থাকলে দেশে বিএনপির নাম আর থাকবে না। বিএনপি হুমকী দেয়! রাজপথে নেমে যদি তারা কোন অরাজকতা করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা রাজপথেই ওদের মোকাবেলা করব। কোন ছাড় দেওয়া হবে না।’
সাম্প্রতিক সময়ে যুবলীগের কয়েক নেতার বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে শেখ হেলাল বলেন, কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, ডাকাতকে আপনারা আওয়ামী লীগে প্রশয় দিবেন না। আপনারা ভাড়া করা লোক দলে নিবেন না। এরা দলের মধ্যে আসবে, অসান্তি বাঁধাবে। এদের সুযোগ দিয়েন না। আপনরা এক থাকেন, দলকে শক্তিশালী করেন। আরও শক্তিশালী করেন। জনগণ আপনাদের সাথে আছে।
‘আপনারা যদি সুসংগঠিত হন, বহিরাগতদের কোন প্রয়োজন হবেনা। আওয়ামী লীগ সংগঠিত থাকলে বিএনপি কোনদিন ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আপনারা সুসংগঠিত হন, আরও সুসংগঠিত হন। এদেশে বিএনপি জামাতের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।’
এরআগে বেলা সাড়ে ১২টায় খানজাহান আলী ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন এবং পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধক ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশে কোন অভাব নেই। রাস্তাঘাট সব সমনা। দেশ এখন খাদ্যে সংম্পূর্ণ। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি ওয়ান ইলেভেনের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘তৃনমূলের নেতাকর্মীরাই আমাদের শক্তি। ১/১১ এর সময় নেত্রী যখন জেলে ছিল, বলতে লজ্জা লাগে, আমাদের দলের অনেকেই সংস্কারের কথা বলেছিল। কিন্তু সেদিন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ঠিক ছিল বলেই শেখ হাসিনা আবার ফিরে এসেছেন। আপনারা ঠিক থাকলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আর কোন দিন ক্ষমতা থেকে নামাতে পারবে না।’
বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ডা. মোঃ মোজাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদ শেখ কামরুজ্জামান টুকু প্রমুখ।
সম্মেলন উপলক্ষে সকাল থেকেই জেলার ৯ উপজেলা, ৭৫টি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতা-কর্মীরা ব্যানার-ফেস্টুনসহ মিছিল নিয়ে সম্মেলনস্থলে আসতে থাকেন। সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যেরই নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ওঠে পুরো এলাকা।
দুপুরে প্রথম অধিবেশন শেষে পিযুষ কান্তি ভট্টাচার্য দ্বিতীয় অধিবেশন পরিচালনা করেন এবং কমিটি নির্বাচন করা হয়।
আইএইচ/আইএইচ/বিআই/৯ ডিসেম্বর, ২০১৯