স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
৩৩ পরীক্ষার্থী পায় পুরনো সিলেবাসের প্রশ্ন
ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করার অভিযোগ
বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র
মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষার প্রথম দিনে বাগেরহাটের একটি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্রের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্র দিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনায় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রসচিবের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে প্রশাসন।
রোববার (৩ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের কেন্দ্রসচিব দীপক রঞ্জন বিশ্বাসের কাছে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এদিকে ভুক্তভোগী এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জেলা প্রশাসনের কাছে এসএসসি বাংলা প্রথম পত্রের নৈর্ব্যক্তিক ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের বিষয়টি উল্লেখ করে ‘জোর করে ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করা’র অভিযোগ করেছেন।
বাগেরহাট বহুমুখী কলেজিয়েট স্কুলের পরীক্ষার্থী ইমরান খলিফার বাবা মো. শহিদুল ইসলাম গতকাল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের (শিক্ষা ও আইসিটি) কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। তিনি উল্লেখ করেছেন, তাঁর ছেলে ২০১৯ সালের এসএসসি পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে অংশগ্রহণ করছে। বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়
পরীক্ষা কেন্দ্র ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র পরীক্ষার সময় তাঁর হলে প্রথমে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ী নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন সরবরাহ করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে সৃজনশীল অংশে ২০১৯ সালের প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়।
‘এই ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহ করার প্রতিবাদ করায় হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকেরা তাঁর ছেলেকে ধমক দেন এবং ভুল প্রশ্নে পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন।’
আবেদনে পরীক্ষার দুটি অংশে দুই সালের সিলেবাসের প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ায় তাঁর সন্তানের ফলাফল বিপর্যয়ের আশঙ্কা করে এ বিষয়ে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান শহিদুল ইসলাম।
এ বিষয়ে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সাইফুল ইসলাম বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, বাগেরহাট সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের মোট ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর এ সমস্যা হয়েছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন। বিষয়টি যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে অবিহিত করে ওই পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র আলাদাভাবে পাঠানো হচ্ছে। উত্তারপত্রগুলো পৃথকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তাই এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবু এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রসচিবের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের অভিযোগের বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরো অভিযোগের বিষয়েই কেন্দ্রসচিবের ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। কেন্দ্রসচিবের বক্তব্য পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচ//এসআই/বিআই/০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯
** পুরোনো প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা, বিপদে পরীক্ষার্থীরা