প্রথম আলো
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের রোববার সকাল থেকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে চিঠি দেওয়া শুরু হয়।দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের চিঠি বিতরণ করেন। এখন পর্যন্ত নৌকায় চড়া ২১১ প্রার্থীর তালিকায় আছেন তারকা, হেভিওয়েট প্রার্থী, অর্থনীতদিবিদ, সাবেক আইজি, রাজনীতিবিদ, সাবেক আমলা। আছেন বাবা–ছেলেও। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়া বাবা শেখ হেলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলে শেখ তন্ময়।
বাগেরহাট-১ (চিতলমারী, মোল্লারহাট, ফকিরহাট) ও বাগেরহাট-২ (বাগেরহাট সদর ও কচুয়া) আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোটযুদ্ধে লড়বেন শেখ হেলাল উদ্দিন ও তাঁর ছেলে শেখ সারহান নাসের তন্ময়।
রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের এই দুই সদস্যের হাতে দলের সভাপতি শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত মনোনয়ন চিঠি তুলে দেওয়া হয়।
শেখ হেলাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই। গতবারও তিনি বাগেরহাট-১ আসনে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
জেলার চারটি আসনের তিনটিতেই আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদরা। তবে বাগেরহাট-২ আসনে নতুন মুখ বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য শেখ তন্ময়। শেখ পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম হিসেবে এই প্রথম নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাইয়ের একমাত্র ছেলে তন্ময়।
সারহান নাসের তন্ময়কে মনোনয়ন দেয়ায় দলের নেতাকর্মীরা দারুণ উজ্জ্বীবিত। এই আসনের সাংসদ মীর শওকাত আলী বাদশার সাথে দলের অনেক নেতাকর্মীদের দূরত্বের কারণে এখানে তন্ময়কে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি ছিল স্থানীয় আওয়ামী লীগের। বঙ্গবন্ধু পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য তরুণ রাজনীতিক তন্ময়কে বাগেরহাট-২ আসনে মনোনয়ন দেওয়াকে স্থানীয় নেতারা তাই দেখছেন দলীয় সভানেত্রীর চমক হিসেবে।
বাগেরহাট-৩ (মোংলা-রামপাল) আসনে নৌকার টিকিট হাতে পেয়েছেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী হাবিবুন নাহার। বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোড়েলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ মো. মোজাম্মেল হোসেন। শেখ হেলাল উদ্দীন, হাবিবুন নাহার, মো. মোজাম্মেল হোসেন আগেও নিজ নিজ আসন থেকে একাধিকবার সাংসদ হয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুসারে, ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২৮ নভেম্বর। ২ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর। আর প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১০ ডিসেম্বর। এরপরই প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করতে পারবেন।
এইচ//এসআই/বিআই/২৫ নভেম্বর, ২০১৮