স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের দুই নেতার জানাযায় এসে লাঞ্ছিত হয়েছেন স্থানীয় সাংসদ ডা. মোজাম্মেল হোসেন।
মঙ্গলবার (২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে দৈবজ্ঞহাটির সেলিমাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে আওয়ামী লীগ নেতা আনসার আলী দিহিদার (৫৩) ও শেখ শুকুরের জানাযায় অংশ নিতে এসে জনতার তোপের মুখে পড়ে পড়েন তিনি।
|| দলীয় বিরোধই খুন হন ২ আ.লীগ নেতা, গুলি করা হয় প্রকাশ্যে
সাবেক সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ও বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ডা. মো. মোজাম্মেল হোসেন বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গত বুধবার বিকালে দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহীদুল ইসলাম ফকিরের নেতৃত্বে হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনসার আলী ও সাবেক যুবলীগ নেতা শেখ শুকুর নিহত হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার পর পুলিশ তাকে আটক করেছে। ওই ইউপি চেয়ারম্যান এমপি মোজাম্মেলের সমর্থক বলে পরিচিত।
নিহতদের জানাযার নামাজে অংশ নিতে এমপি ডা. মোজাম্মেল, এই আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান, মোরেলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ-ই-আলম বাচ্চু, অ্যাড. আলী আকবর, অ্যাড. সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক এমদাদুল হকসহ অসংখ্য নেতাকর্মী অংশ নেন।
জানাজার আগে নিহতদের পরিবারের সদস্য ছাড়াও সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন বদিউজ্জামান সোহাগ। পরে বক্তব্য দিতে চেষ্টা করেন বাগেরহাট-৪ আসনে সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন। কিন্তু এসময় জানাজায় অংশ নিতে আসা হাজারো জনতা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা ক্ষোভে ফেঁটে পড়ে। এর মাঝেও তিনি বক্তব্য দিতে চাইলে বিক্ষুব্ধ জনতার তাকে লক্ষ্য করে জুতা-স্যান্ডেল ছুড়ে মারে। এতে করে জানাজা পণ্ড হওয়ার উপক্রম হয়।
পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল এমপিকে ঘটনাস্থল থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেন। পরে জানাযা না পড়েই ফিরে যেতে বাধ্য হন তিনি।
এদিকে জানাজায় উপস্থিত মোরেলগঞ্জ-শরণখোলাসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার থেকে আসা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ হাজারো জনতা খুনিদের ফাঁসির দাবি করে শ্লোগান দেয়।
।। দলীয় কোন্দল: হামলায় দুই আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও অধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে সোমবার বিকেলে চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরের নেতৃত্বে তার লোকজন দৈবজ্ঞহাটী বাজার থেকে শেখ শুকুর ও বাবলু এবং বাড়ি থেকে আনসার আলী দিহিদারকে ধরে নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করে। এরআগে কলেজ মাঠে মারধরের পর দুজনকে ‘বোরকা পরানো হয়’। পরে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসাপাতলে নেয়। ঘটনাস্থলে ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ শুকুর ও আনসার আলী দিহিদার নিহত হন।
এইচ//এসআই/বিআই/০২ অক্টোবর, ২০১৮
** যুবদলের সভাপতি এখন আ.লীগের ইউপি চেয়ারম্যান!