স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের রামপালে নির্মাণাধীন বহুল আলোচিত কয়লা কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কাজের সময়ে বিদ্যুতায়িত হয়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে রামপাল উপজেলার সাপমারী-কৈর্গদাসকাঠি মৌজায় নির্মানাধীন ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নির্মাণ শ্রমিকের নাম সজীব। বয়স ১৫ বছর। তার বাড়ি বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার ঝনঝনিয়া গ্রামে বলে জানা গেছে।
নির্মাণ কাজের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে তার মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং নির্মাণ কাছে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু বলতে চাননি।
ওই দুর্ঘটনায় আরো অন্তত দু’জন শ্রমিক আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লুৎফর রহমান শুক্রবার রাত ১১টা ৫০ মিনিটে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, ‘শুক্রবার বেলা তিনটা, সাড়ে তিনটার দিকে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। নির্মানাধীন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের লোহার রড ইলেকট্রিক মেশিনে মাধ্যমে কাটার সময় এক শ্রমিক সর্ট সার্কিটের মাধ্যমে বিদ্যুৎতায়িত হন। এসময় আরও দুই শ্রমিক তাকে ছাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হন। পরে অন্যরা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।’
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব নামে এক শ্রমিকের মৃতুর খবর শুনেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, নিহতের মরদেহ খুলনার সোনাডাঙা মডেল থানা উদ্ধার করেছে। নিহত ওই শ্রমিক ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী ফ্রেন্ডশীপ কোম্পানির নিয়োগ করা একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের হয়ে প্রকল্প এলাকায় একটি সেডের নির্মাণ কাজ করছিল।
তবে ওই ঘটনায় পর শুক্রবার দিনগত রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্টরা থানা পুলিশকে এবিষয়ে কিছুই জানায়নি।
খুলনা মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে নিহত সজিবকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়।
অাহত দুজন না তিনজন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে এক জনের বয়স ১৬ বছর বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জানতে রাতে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক (গনসংযোগ) আনোয়ারুল আজিমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি।
সংশ্লিষ্টদের নিয়োগকৃত স্থানীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সুলতান মাহমুদ মুঠোফোনে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিষয়টি আমার হাতে নেই। আমি আহতদের চিকিৎসাসেবা নিয়ে খুলনায় ব্যস্ত আছি।’
বিষয়টি খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক দেখছেন বলে ফোনের লাইনটি কেটে দেন তিনি।
এইচ//এসআই/বিআই/৩১ আগস্ট ২০১৮