মংলা পৌরসভার নারকেলতলা গ্রামের কাটা খালে এক বছরের বেশী সময় ধরে কাঠের সেতুটি সংস্কারের অভাবে চলাচলের সম্পূর্ন অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এ খালের দু’পাশের পৌরসভা ও উপজেলার চাঁদপাই ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের কয়েক হাজার জনগণ ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এ জন্যে দারুন দূর্ভোগপোহাতে হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মংলা পোর্ট পৌরসভার নারকেলতলা গ্রামের কাটা খালের উপর নির্মিত কাঠের সেতুটির অধিকাংশ স্থানই ভাঙ্গাচোরা। কোন বাহনই পার হতে পারে না। মাঝখানে সরু একটি কাঠ ছাড়া আর কিছু নেই। ফলে বয়স্ক ও শিশুদের সেতু পার হওয়াটা রীতিমত কষ্টসাধ্য। বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় রাতে সেতুটি পার হতে গিয়ে প্রায়শ:ই দূর্ঘটনা ঘটছে।
নারকেলতলা গ্রামের একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সুশান্ত রায় বলেন, পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের জয় খা, পাকখালী, মাকঢ়ঢোন, মাছমারা ও নারকেলতলা গ্রামের প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা এ সেতু পার হয়ে মংলা শহরে যাতায়াত করে। এক বছর ধরে সেতুটির কোন সংস্কার না করায় আমরা খুবই সমস্যার মধ্যে আছি। একই গ্রামের গঠন এডুকেশন সেন্টারের প্রধান শিক্ষিকা প্রীতি রায় বলেন, এই সেতুর দু’পারের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীদের এই ঝুকিপূর্ন সেতু পার হয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয় ও কলেজে যেতে হয়। সম্প্রতি সাঁকোর মাঝখানে মেরামতের অভাবে আরো ঝুকিপূর্ন হয়ে উঠেছে। বর্ষাকালে কষ্ট সবচেয়ে বেশী।
মাছমারা গ্রামের ফিলিপ হালদার বলেন, দিনের বেলায় কষ্ট করে পার হলেও রাতের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি না থাকায় সেতুটি দিয়ে কোনভাবেই পার হওয়া যায় না। আমি নিজে রাতের বেলায় সেতু থেকে পড়ে আহত হয়েছি। এতদিন ধরে সমস্যা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ এই সেতুটি মেরামতের কোন উদ্যোগই গ্রহন করছে না। নারকেলতলা গ্রামের মুদি দোকানদার রমেন হালদার বলেন, মংলা বাজার থেকে আমাদের পন্য কিনে আনতে হয়। আর এই সেতু দিয়ে পন্য পরিবহনে আমাদের ভীষন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
পার্শ্ববর্তী চাঁদপাই ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আমাদের সীমানাভুক্ত না হওয়া সত্তেও আমাদের ইউনিয়নের উদ্যোগে আমরা একবার সেতুটির সংস্কার কাজ করেছি। কিন্তÍ সংশ্লিষ্ট পৌর কমিশনার এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
স্থানীয় বাসিন্দাদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে মংলা বন্দর পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, আমি বিষয়টি মেয়র মহোদয়কে জানিয়েছি। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন খুব দ্রুত দরপত্র আহ্বানের মাধ্যম এই সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হবে।