স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় ষাটোর্ধ এক ব্যক্তিকে জবাই করে হত্যা করেছে তার ছেলে। ঘটনার পর গ্রামবাসী ওই ছেলেকে ধরে পুলিশে দিয়েছে।শনিবার (১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের জিউধরা গ্রামে হত্যাকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজন হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে নিহতের বড় ছেলে লাল মিঞা হাওলাদারকে (৪৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
নিহত ইউনুস হাওলাদার (৬৬) জিউধরা গ্রামের প্রয়াত রাশেদ হাওলাদারের ছেলে। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, নিহত ইউনুস হাওলাদারের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে, তারা শ্বশুর বাড়িতে থাকেন। ছোট ছেলে থাকে ঢাকায়। বড় ছেলে লাল মিঞা বাড়িতে থাকেন। সাম্প্রতি লাল মিঞা পরিবারের অমতে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। যা নিয়ে বাবার সাথে তার কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে তার।
এর প্রেক্ষিতে শনিবার সকালে বাবাকে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ছেলে।
মোরেলগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এস এম আবুল বাশার ঘটনাস্থল থেকে মুঠোফোনে বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, শনিবার সকাল সাতটা থেকে সাড়ে সাতটার দিকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বাবা ও ছেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে ছেলে বাবার উপর ক্ষুব্দ হয়ে ধারালো দা দিয়ে জবাই করে হত্যা করে।
প্রতিবেশিরা কান্নাকাটির চিৎকার শুনে ওই বাড়িতে এসে নিহত ইউনুসের জবাই করা মরদেহ দেখতে পেয়ে তার ছেলে লাল মিঞাকে ধরে ফেলে। পরে তারা পুলিশের খবর দেয়।
‘আমরা সেখানে গিয়ে তাকে হেফাজতে নিয়েছি। পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি। তবে কি কারনে এবং কেন লাল মিঞা তার বাবাকে হত্যা করল তা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সুরতহাল শেষে নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা’টি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
এইচ//এসআই/বিআই/১১ আগস্ট ২০১৮