চলতি বোরো মৌসুমে বাগেরহাটের চিতলমারীতে বোরোর বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা।
চলতি বোরো মৌসুমে কঠোর পরিশ্রমকে উপেক্ষা করে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষাণ-কুষাণীরা। শুধু কৃষাণ-কৃষাণীরাই নয়, প্রতিটি পরিবারের ছোট্ট শিশুরাও আনন্দের সাথে কাজ করছে ধানের জমিতে।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে জানা গেছে, কৃষি অধ্যুষিত এ অঞ্চলের কৃষক পরিবারে সদস্যরা কাকডাকা ভোর থেকেই ধানের জমিতে কাজ শুরু করে। বসে নেই প্রতিটি পরিবারের মেয়ে-গৃহবধু ও ছোট্ট শিশুরাও। আনন্দের সাথেই অবসরে তারা কাজ করছে ধানের জমিতে।
এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় বাম্পার ফলন হবে বলে আশাবাদী স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে জ্বালানী তেল, বিদ্যুৎ ও কৃষি সংশ্লিষ্ট উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে হতাশা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর উপজেলার ১০ টি ব্লকে ১০ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে উপশি ১ হাজার ৯৬৫, স্থানীয় জাতের ৩৫ ও হাইব্রীড জাতের ৮ হাজার ৯০০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে।
চিতলমারী সদর ইউপি’র দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সমীরণ বিশ্বাস জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর চাষিরা স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে বোরো ধানের চাষে এগিয়ে এসেছেন। এ বছর প্রতিটি মাঠেই ধানের আবাদ ভাল হয়েছে।
সরেজমিনে, একাধিক চাষির সাথে আলাপ করে জানা গেছে, এ বছর ফল ভাল হবে বলে তারা আসাবাদি। তবে জ্বালানী তেল ও কৃষি সংশ্লিষ্ট উপকরণের মূল্য বৃদ্ধির কারণে হতাশ।
চিতলমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আবু তালহা জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ধানের চাষ খুব ভাল হয়েছে এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ধানের বাম্পার ফলন হবে।
কৃষকের প্রত্যাশা এবার ফসল বিক্রি করে তরা ধার-দেনা আর ঋণের টাকা পরিশোধ করবেন। তবে ফসলে প্রকৃত দাম পাওয়া নিয়ে সন্দিয়ান তারা। সরকারের কাছে ফসলের ন্যায্য দাম নিধ্যারন করে সরাসরি মাঠ পর্যায় থেকে ধান ক্রয়ের আবেদন তাদের।