স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় পানিতে ডুবে তিন কন্যাশিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত তিন শিশুর নামই জান্নাতি।
বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) দুপুরে উপজেলার সাউথখালী ইউনিয়নের তাফালিবাড়ি গ্রাম-সংলগ্ন বলেশ্বর নদ থেকে ভাসমান অবস্থায় দুই বান্ধবীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার সকালে উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামে নিজ বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে মৃত্যু হয় আরও এক শিশুর।
কাকতালীয়ভাবে তিন পরিবারের তিন শিশুর নামই জান্নাতি এবং তারা তিনজনই দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত তিন শিশু হলো তাফালিবাড়ি গ্রামের বাচ্চু মোল্লার মেয়ে জান্নাতি (৯), তার বান্ধবী একই গ্রামের মো. সাঈয়েদ মাতুব্বরের মেয়ে জান্নাতি (৯) এবং উত্তর রাজাপুর গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের মেয়ে জান্নাতি (৯)।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বাচ্চু মোল্লা ও সাঈয়েদ মাতুব্বরের বাড়ি বলেশ্বর নদ-সংলগ্ন তাফালিবাড়ি গ্রামে। তাঁদের দুই মেয়ে সমবয়সী এবং বান্ধবী। প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার তারা একসঙ্গে গোসল করতে নদে যায়। নদের পানিতে ডুব দিয়ে তাদের আর উঠতে না দেখে পাড়ে থাকা স্থানীয় এক জেলে তাদের খুঁজতে নদে নামেন।
এদিকে দীর্ঘ সময়েও ওই দুই শিশু বাড়িতে ফিরে না এলে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
একপর্যায়ে আব্দুর জলিল নামের ওই জেলে বলেশ্বর নদ থেকে শিশু দুটিকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
এরআগে বুধবার উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আনোয়ার হাওলাদারের মেয়ে জান্নাতি নিজ বাড়ির পুকুরে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয়। পরে পুকুর থেকে তার ভাসমান লাশ উদ্ধার করেন পরিবারের সদস্যরা।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, ‘পানিতে ডোবা তিন শিশুকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। কাকতালীয়ভাবে তিন পরিবারের তিন শিশুর নামই জান্নাতি।’
মহিদুল/এইচ/এসআই/বিআই/১৪ জুন, ২০১৮