স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাগেরহাট ইনফো ডটকম
পৈতৃক জমিজমা নিয়ে ভাই ও বোনদের মন-কষাকষি ছিল আগে থেকেই। এরই মধ্যে বাবার মৃত্যুবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উপলক্ষে জড়ো হন তাঁরা। অনুষ্ঠান শেষে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এক ভাইয়ের মেয়েকে চড় মারেন এক বোন।
এ নিয়ে বেধে যায় তুলকালাম। একপর্যায়ে এক বোন লাঠি দিয়ে ওই ভাইয়ের মাথায় আঘাত করলে মৃত্যু তার।
রাতে বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের টেংরাখালী গ্রামের হাজরাপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
ব্যক্তির নাম আবদুল আজিজ ফকির (৫০)। তিনি পেশায় কৃষক। আবদুল আজিজ হাজরাপাড়ার এলাকার মৃত আফতার উদ্দিন ফকিরের ছেলে।
স্থানীয় লোকজনের তথ্যের বরাত দিয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল কবির বাগেরহাট ইনফো ডটকমকে বলেন, নিহত আজিজের তিন বোন ও এক ভাই। পৈতৃক জমিজমা নিয়ে পরিবারের ভাইবোনদের মধ্যে বিরোধ ছিল। সোমবার ছিল তাঁদের বাবা আফতার উদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে আজিজের তিন বোন, ভগ্নিপতিরা ও ভাগনে-ভাগনিরা তাঁদের বাড়িতে আসেন।
‘অনুষ্ঠান শেষে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে আজিজের মেয়েকে একটি চড় মারেন তাঁর বড় বোন খুসু বেগম। ওই চড় মারা নিয়ে তাঁদের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হন তারা। এ সময় তিন বোনের কেউ একজন লাঠি দিয়ে আজিজের মাথায় আঘাত করেন সে জ্ঞান হারায়।’
স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আজিজকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় মঙ্গলবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী শিউলি বেগম একটি মামলা করেছেন। এতে আজিজের তিন বোন, এক ভাইসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
এইচ//এসআই/বিআই/২৯ মে ২০১৮